মোস্তাফিজ কচি: দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য মাটি বহনকারী গাড়ির কারণে এলজিইডি’র সড়ক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে জনসাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ব্রিজ মোড়, কাউন্সিল মোড় হতে কার্পাসডাঙ্গা কবরস্থান পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে ইটভাটার মাটি নেয়ার কারণে সড়কটি এখন ধ্বংসের পথে। দেখার কেউ নেই। সড়কের ধারে ৭-৮টি ইটভাটা করা হয়েছে অনেক আগে থেকেই। কর্তৃপক্ষ ভাটার মাটির প্রয়োজন মেটাতে নদীর চর থেকে অথবা মাঠের মাটি কেটে অবৈধ যানবাহন ট্রাক্টরের মাধ্যমে কার্পাসডাঙ্গা বাজারের রাস্তার ওপর দিয়ে অতিরিক্ত মাটি লোড দিয়ে ভাটায় আনেন। মাটি বহনকারী ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচল করায় সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সড়ক দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল চরম বিপদজনক হয়ে পড়েছে। কার্পাসডাঙ্গা বাজারে সড়ক প্রতিদিন হাজার মানুষজন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ অবস্থার কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে সড়কটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পরার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইটভাটার পার্শ্ববর্তী বসবাসরত ব্যক্তিবর্গ জানান, ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে এবং ঝিঁকঝাঁক হাওয়ায় ভাটা না থাকার কারণে কয়লার পরিবর্তে কাঁচা কাঠ পোড়ানো হয়ে থাকে। ফলে ইটভাটার ধুলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা জানান, ইটভাটা কর্তৃপক্ষ কৃষকদের মোটা অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ধান চাষে বাঁধাগ্রস্ত করছে ফলে ক্রমশ কমে যাচ্ছে কৃষি জমি। এলাকার সচেতনমহল এলজিইডি সড়ক ধ্বংস, পরিবেশ বিনষ্ট এবং ফসলি জমি নষ্টকারী ভাটার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিঙ্কনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।