চুয়াডাঙ্গায় কাজি ও কনের দুলাভাইকে কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে কাজি নাজমুল হক হিরা ও সহযোগিতার জন্য কনের ভগ্নিপতিকে কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে বরের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। গতরাত ১১টার দিকে জেলা শহরের আরামপাড়ায় বাল্যবিয়ের সময় হাতেনাতে আটকের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরামপাড়ার আসলাম হোসেনের বাড়িতে গোপনে বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে খবর পায় পুলিশ। এরপর সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি হাজিমোড় এলাকার খায়রুল হোসেনের মেয়ে সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিলো। বর পার্শ্ববর্তী জেলা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়ি গ্রামের সাইদুল হকের ছেলে ইটভাটার শ্রমিক শরীফ হোসেনও ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলো। বিয়ের আয়োজনে কাজি ও তার সহযোগী উপস্থিত ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই প্রসাদ কুমার চাকী সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত হন রাত ১১টার দিকে। সাথে সাথে উপস্থিত হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে চুয়াডাঙ্গা আরামপাড়ার দাউদ হোসেনের ছেলে কাজি নাজমুল হক হীরাকে দেড়মাস ও বিয়ের সহযোগিতার অপরাধে সদর উপজেলার আলুকদিয়া খেজুরবাগানপাড়ার হবিবুর রহমান হবির ছেলে কনের দুলাভাই ফরজ আলীকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেন আদালত। এ সময় বিয়েরপিঁড়িতে বসানো স্কুলছাত্রী অন্তরা খাতুনকে পিতার জিম্মায় দেয়ার জন্য পুলিশকে বলেন আদালাত। বর অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার সুপারিশ করা হয়।