স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেছেন ‘মুজিববর্ষ হিসেবে বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। সবাই সর্বাত্মক সহায়তা করবো। পরিচ্ছন্নতা কর্মীর দ্বারা করবো না। এ জেলার প্রত্যেক মানুষকে করতে হবে। সবাই যখন নিজ উদ্যোগে ভাবতে শুরু করবো; তখন শহর সুন্দর হবে। ঝকঝকে রাখতে সবাই সচেষ্ট হবেন। ইউরোপ-আমেরিকা পেরেছে ,আমরাও পারবো। সরকারের সকল উন্নয়ন কাক্সিক্ষত ভালো হোক।’ গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এসব কথা বলেছেন।
জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় মহান বিজয় দিবসে সরকারি ও বেসরকারি ভবন আলোকসজ্জা করার জন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়। সরকারি পর্যায়ে ১ম স্থান পানি উন্নয়ন বোর্ড, ২য় স্থান প্রাণিসম্পদ কার্যালয় এবং ৩য় স্থান সড়ক ও জনপথ বিভাগ পুরস্কার লাভ। বেসরকারি পর্যায়ে ১ম স্থান জামান গ্রুপ, ২য় স্থান বিগ বাজার ও ৩য় স্থান সনো টাওয়ার পুরস্কার লাভ করে ।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান সঞ্চালনা করেন। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, আরএমও ডা. শামীম কবির, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, জীবননগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন আলী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হাসান, এলজিইডির নির্বাহী প্রখৌশলী আশরাফুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেনসহ জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার আরও বলেন, জেলা পরিষদের ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ২৭২টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৭ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত করে দ্রুত প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে। জেলা পরিষদের উন্নয়ন কাজগুলো উপজেলা পরিষদে অনুলিপি দিয়ে জানাতে হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হবে। জেলার চার উপজেলার চারটি গ্রাম দোয়ারপাড়া, বলিয়ারপুর, পাটাচোরা ও ধোপাখালীকে শহর পরিণত করতে কাজ চলছে। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করেছি। ওই গ্রামে ওয়াইফাই সংযোগ, স্যানিটেশন, অ্যাম্বুলেন্স, ওয়াটার প্লান্ট ও দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন সুবিধাদি থাকবে। ভিলেজ-২০৪১ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্পগুলো দেখেন তার মধ্যে এটি একটি। জেলায় পাঁচটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টার তৈরি হচ্ছে তা দেখতে হবে। কাজে যেন কোনো অবহেলা না থাকে। এলজিইডির প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হোক এটা আশা করবো। প্রকল্পের উভয়পাশে কাজের বিবরণ সম্বলিত সাইনবোর্ড দিতে হবে। শতভাগ ধানক্রয় করার চেষ্টা করতে হবে। অন্যথা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝড়ের আগেই রাস্তার পাশের গাছের ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। সড়ক নির্মাণে কোনো রকম ত্রুটি সহ্য করা হবে না। খেজুরের গুড়ে যদি উপাদান না থাকে তাহলে তদারকি করতে হবে। খেজুরের গুড় মানে খেজুরের গুড় হতে হবে। কৃষকদের মোটিভেশন করতে হবে।