মুজিবনগরের ভৈরব নদের পাড়ের মাটি বিক্রির মহোৎসব

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মাটি খেকোদের লোলপ দৃষ্টি এখন মুজিবনগরের ভৈরব নদের পাড়ের দিকে। প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কেটে বিক্রি করছে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। বাধাহীনভাবে মাটি কেটে বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা চলছে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মাটি কাটার সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা ও মাটি ও বালু মহাল রক্ষা আইন লঙ্ঘন করে ভৈরব নদের পাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। শ্রমিকরা কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ভরে দিচ্ছে ট্রলিতে। নদের পাড়সহ পাশের জমির উপরি অংশও কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন ইটভাটার চাহিদা পূরণ ও বাড়ি নির্মাণের জন্য এসব মাটি বিক্রি করছে মাটি কাটা ব্যবসার সাথে জড়িতরা। ভূমি বিপর্যয়ের পাশাপাশি এলাকার মানুষের চলাচলেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে একের পর এক রাস্তা দিয়ে মাটি বোঝাই যানবাহন চলাচল করায় মানুষ চলাচলে বিঘিœত ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার ছোট ছোট সড়ক।
মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের পাশে ভৈরব নদের এলাকায় অবৈধভাবে মাটি কেটে অত্র ইউনিয়নের ৬টি ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রত্যেক দিন ৪০ থেকে ৫০ ট্রলি মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটাসহ বাড়ি নির্মাণের জন্য দেয়া হয়।
মহাজনপুর গ্রামের মাটি কাটার পাশের ফসলি ক্ষেত মালিক ইমরুল হোসেন বলেন, আমার পাশের জমির মাটি কেটে নিচু করা হচ্ছে। বর্ষা মরসুমে আমার জমিতে ভাঙন ধরবে। আশেপাশের ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু প্রভাবশালীরা মাটি কাটার সাথে জড়িত তাই প্রতিবাদ করতে পারছি না।
প্রকাশ্য দিবালোকে মাটি কাটার বিষয় নিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উসমান গনি বলেন, বিষয়টি শোনার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ সময় মাটি কাটার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।