চুয়াডাঙ্গা ও আলমাডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার: এখন মাঘ মাস। বেশ কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহের পর ঠা-া কিছুটা কমেছে। তবে আবার আগামী ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিন পর শীত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া এ মাঘ মাসেও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে গতকাল শনিবারও চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহববুব হোসেন মেহেদী এবং চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার আবহাওয়া অধিদফতরসূত্র জানিয়েছে, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আগামী দু’দিন সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। তবে তিন দিন পর ফের ঠা-া পড়তে পারে। এছাড়া সামান্য বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমতে পারে দেশের কয়েকটি স্থানে। আজ শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। গতকাল শনিবার দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো খেপুপাড়ায় ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ২৮ দশমকি ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিলো ২৯ দশমকি ৬ ডিগ্রি এবং সর্বনি¤œ ছিলো ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহববুব হোসেন মেহেদী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মুজিববর্ষ-২০২০ এ নেয়া নানা কর্মসূচির মধ্যে গতকাল শনিবার তিনি নিজ উদ্যোগে ৫শ’ কম্বল বিতরণ করেন। বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এতিমখানা, মাদরাসা, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়, রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, বাবুপাড়া, কলেজপাড়াসহ আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় তিনি এ কম্বল বিতরণ করেন। পরে সন্ধ্যা থেকে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এতিমখানা, মাদরাসা, তালতলা, রেলপাড়া, বড় মসজিদপাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় তিনি কম্বল বিতরণ করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টায় তালতলার বায়তুল উলুম ক্বওমী (নূরানী) মাদরাসার ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। মাদরসায় কম্বল বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, মাদরাসার সভাপতি আজাদ আলী, সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, উপদেষ্টা মামুনুর রশিদ, সদস্য কবির উদ্দীন, রানা, সাইফুল, শিক্ষক আবুজার গিফারী, জাহাঙ্গির আলম প্রমুখ। কম্বল বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তেব্যে ডা. মাহববুব হোসেন মেহেদী বলেন, শীতার্তদের জন্য কম্বল অনুদান নয়, এটা তাদের মৌলিক অধিকার। সরকারের পক্ষে সকল শীতার্তদের জন্য শীতবস্ত্র সম্ভবপর হয়ে উঠে না। সেকারণে সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। শীতার্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি সমাজের সক্ষমদের দায়িত্ব রয়েছে। আসুন শীতার্তদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ায়। তাদেরকেই উন্নয়নের মূল স্রোতে তুলে নিয়ে আসি।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার এ কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ওজোপাডিকো পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান ও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন উপস্থিত থেকে শীতার্ত বয়স্কদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়া অত্র দফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।