ঝিনাইদহ প্রতনিধি: ঝিনাইদহে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তিতে পড়ার অভিযোগ অনেক গ্রাহকেরই। নির্ধারিত দিনে পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেবা প্রত্যাশীদের। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার নির্ধারিত দিনের আড়াই তিন মাস পরেও পাসপোর্ট মিলছে না বলে অভিযোগ তাদের।
পাসপোর্ট অফিসের এক কর্মচারী জানান, ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টি পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়ে। নিয়ম অনুযায়ী ২২ দিনে পাসপোর্ট বই গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। সে হিসেবে সেবা প্রত্যাশীদের সময়ও বেধে দেয়া হয়েছে।
তবে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আবেদনের সময় এক ধরণের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আবার কোনোভাবে আবেদন সম্পন্ন হলেও আর নির্ধারিত সময়ে পাওয়া যায় না পাসপোর্ট। ফলে দিনের পর দিন পাসপোর্ট অফিসে ঘুরে বেড়াতে হয় গ্রাহকদের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান বলেন, পাসপোর্ট আবেদন পত্র জমা দেয়ার পর ৯৩ দিন অতিবাহিত হয়েছে তার। কিন্তু নির্ধারিত দিনের পর দিন খোঁজ নিয়েও মেলেনি পাসপোর্ট। তিনি আরও অভিযোগ তুলে বলেন, অফিসে এসে খোঁজ নিলে বলা হয়েছে ঢাকা থেকে বই আসেনি।
শৈলকূপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের নির্মল কুমার সাহা বলেন, তিনি তার পাসপোর্ট নবায়ন করতে দিয়েছেন। ডেলিভারির জন্য দিনের পর দিন ঘুরেছেন। অফিসে খোঁজ নিলে বলা হয়, ঢাকা থেকে নবায়ন হয়ে বই আসেনি।
ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. আজিজুল হক জানান, ঢাকায় পাসপোর্ট অধিদফতরের হেড অফিসে বই প্রিন্টিং এ বিলম্বের কারণে সময়মতো দিতে পারছি না। ঝিনাইদহ অফিস থেকে পাঠানো প্রায় তিন হাজার পাসপোর্ট বই প্রিন্টিং এর অপেক্ষোয় আছে। তবে দ্রুত ই-পাসপোর্ট চালু হতে যাচ্ছে। ই-পাসপোর্ট চালু হলে এমন সমস্যা থাকবে না বলে জানান তিনি।