মাঘের শুরুতে হারিয়ে গেলো শীতের অনুভূতি : বৃষ্টির পূর্বাভাস

sdr

চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত
স্টাফ রিপোর্টার: মাঘ মাসের শুরুতে অনেকটাই হারিয়ে গেছে শীতের অনুভূতি। সূর্যের আলোয় শুক্রবার দিনে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ দেশের সর্বত্রই ছিলো উষ্ণ অনুভূতি। উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। অবশ্য তেতুলিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রংপুরের দু-এক জায়গায় আজ শনিবার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেতুলিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ ছিলো ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো কপবাজারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস । রাজধানীতেও ছিলো উষ্ণতা। এখানে সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৫.১ ডিগ্রি এবং দিনের তাপমাত্রা ছিলো ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের অন্য এলাকাগুলোতে দিনের তাপমাত্রা ছিলো ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। এদিকে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, শনিবার রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সামগ্রিকভাবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ জানান, আরও দু-তিন দিন এ ধরনের উষ্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করবে। ২০ জানুয়ারির পরে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। ফলে ওই সময় মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, ডিএমপি কমিশনারের পৃষ্ঠপোষকতায় আলমডাঙ্গায় হতদরিদ্র ১ হাজার শীতার্তের মাঝে উষ্ণতা ছড়ালেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক ডিএমপি কমিশনার বিপিএম (বার) শফিকুল ইসলাম ১ হাজার কম্বল এলাকার শীতার্তদের জন্য পাঠান। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ১ হাজার শীতার্ত নারী-পুরুষের হাতে কম্বল তুলে দেন। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি হাজি মীর শফিকুল ইসলাম, আল ইকরা ক্যাডেট একাডেমির অধ্যক্ষ এনামুল হক ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী শামীমুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) স্বপন কুমার দাস।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সরিষাডাঙ্গা রোমেলা খাতুন রহমানিয়া মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের ছাত্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সরিষাডাঙ্গা গ্রামের মাদরাসার ৭১জন ছাত্রদের মাঝে এ কম্বল প্রদান করা হয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান উপস্থিত থেকে শীতার্ত ছাত্রদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, মাদরাসার সভাপতি ইসলাম মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাজু, জেলা পরিষদের সদস্য মাফলুকাতুর রহমান সাজুসহ মাদরাসার সকল শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। মাদরাসার ৭১ জন এতিম ছাত্রের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্র কম্বল পেয়ে খুশি মাদরাসার ছাত্ররা। শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।