আলমডাঙ্গা ব্যুরো: এ বছরও সাহসিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পেয়েছেন আলমডাঙ্গার কৃতিসন্তান পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ। গত বছরও তিনি মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার অর্জন করেন। গত ৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি এ পদক গ্রহণ করেন। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিপিএম ও পিপিএম প্রদান করেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সেবা, সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে চারটি ক্যাটাগরিতে পদক দেয়া হয়। এ বছর মোট ১১৮ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত সদস্যরা সর্বাধিক ৩০টি পদক পেয়েছেন। এরমধ্যে ডিএমপির গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা পেয়েছেন ১৫টি পদক। ডিএমপির পরের অবস্থানে রয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। র্যাবে কর্মরত ১৮ জন পেয়েছেন বিপিএম-পিপিএম পদক। এছাড়া পুলিশ হেড-কোয়ার্টাসের ১২ জন পদক পেয়েছেন, পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমারসহ ৫ জন পাবেন পদক।
পুলিশ হেড-কোয়ার্টার্স ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বছরজুড়ে ভালো কাজ, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণ ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য চারটি ক্যাটাগরি বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা পদক দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের খন্দকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে মীর আবু তৌহিদ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত।
২য় বারের মতো বিপিএম পুরস্কার পাওয়ার পর নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই এটি সম্মানের। একই সাথে ভালো কাজের স্বীকৃতিও বটে। পুরস্কার প্রাপ্তির সাথে সাথে দায়িত্বও অনেক বেড়ে যায়। যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের উদাহরণ সৃষ্টি করে সে দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারেন, সেজন্য তিনি এলাকার মানুষের দোয়া চেয়েছেন।