মুজিববর্ষ উদযাপনে সকলকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান
স্টাফ রিপোর্টার: জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ শুরু হয়ে মুজিববর্ষের কর্মসূচি চলবে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত। ২০২১ সাল দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হওয়ায় মুজিববর্ষেও সঙ্গে সঙ্গেও সূবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচিও পালিত হবে। ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার সময়সূচিও। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই ক্ষণগণনা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ইতোমধ্যে ক্ষণগণনা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ‘২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম তারিখ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ পালিত হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে আমরা এমনভাবে উদযাপন করতে চাই যেন তা একটি মাইলফলক হয়ে থাকে। সেই সাথে বাংলাদেশে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীও পালন করা হবে। সেদিন থেকে বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মধ্যদিয়ে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি উপজেলায় মুজিববর্ষ পালন করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত এ মুজিববর্ষ পালন করা হবে। বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চুয়াডাঙ্গায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযথ মর্যাদায় পালনের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানান দিতে চায়।
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন থেকে মুজিববর্ষের দিন গণনা শুরু করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। র্যালি শেষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বড় পর্দার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রামাণ্যচিত্র পরিদর্শন করা হবে। আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মুজিববর্ষ পালনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি। জেলা প্রশাসক বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপন কোনো একক সংস্থার কর্মসূচি নয়, এটা জেলাবাসী তথা দেশবাসীর কর্মসূচি। এ সময় বর্ণাঢ্য আয়োজনে মুজিববর্ষ উদযাপনে সকলকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহবান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা পারভীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো. রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, বীর প্রতীক সাইদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম মালিক, আবু হোসেন, রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহানসহ মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।