বিশ্ব টুকিটাকি

নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে আসামে গুলিতে নিহত ৩
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠা আসামের গুয়াহাটিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘরষে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো বহু মানুষ। বুধবার রাতে পারলামেন্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশের পরেই সেখানে কারফিউ জারি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই কারফিউ ভেঙে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসার পরই গুলিতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। স্থানীয় এক পুলিশ করমকরতা জানিয়েছেন, ভারতের বিমানঘাঁটির কাছের চাবুয়া শহরে বিক্ষোভকারীরা এক পোস্ট অফিসসহ সরকারি সম্পত্তি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল এবং কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাড়িতেও হামলা চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে মহারাষ্ট্রের আইপিএস কর্মকর্তার পদত্যাগ
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিশ ক্যাডারের আইপিএস কর্মকর্তা আবদুর রহমান পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এক ট্যুইটে চাকরি ছাড়ার কথা জানান তিনি। সঙ্গে নিজের পদত্যাগপত্রও পোস্ট করেছেন। মহারাষ্ট্র পুলিশের আইজি পদের এই কর্মকর্তা মুম্বাইয়ে কাজ করছিলেন। টুইটে তিনি লেখেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংবিধান পরিপন্থি এবং ভারতে ধর্মীয় বহুত্ববাদের বিরোধী। আমি ন্যায়বিচারের পক্ষের সব মানুষকে গণতান্ত্রিক পন্থায় এ বিলের বিরোধিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।সরকারের সঙ্গে সহমত হতে না পারায় আমি আর কাজে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে গিয়ে ভারতে শরণার্থী হওয়া অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে আনা হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্সি সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা আছে বিলে। বিলটিতে মুসলিমরা না থাকায় এটি সাম্প্রদায়িক বলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। বুধবার রাতে রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে এ বিল। বিলের স্বপক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৯৯টি। এর আগে এটি লোকসভায় পাশ হয়েছিল।

মিয়ানমারকে বিশ্বাস করার কারণ নেই: গাম্বিয়া
রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংস নির্যাতনের জন্য দায়ী সেনাদের বিচার ও সহিংসতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের উপর আস্থা রাখা যায় না বলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে জানিয়েছে গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগের এই আদালতে গণহত্যার মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার দেশটির পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী একথা বলেন। ১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশনের অধীনে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার করা এই মামলায় বৃহস্পতিবার তৃতীয় ও শেষ দিনে শুনানি ছিল। দেশটির প্রধান কৌঁসুলি পল রিখলার মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির আগ পর্যন্ত বিচারকদের কাছে বারবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সাময়িক পদক্ষেপ দাবি করেন। তিনি বলেন, শুনানির সময় মিয়ানমার এমনকি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ বা ২০১৭ সালের সাঁড়াশি অভিযানের পর রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে দেশান্তরের অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।

নাইজারে জঙ্গি হামলায় ৭১ সৈন্য নিহত
মালির সীমান্তের কাছে নাইজারের একটি প্রত্যন্ত সামরিক ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় ৭১ জন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে নাইজারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। বুধবারের এ হামলাটি স্মরণকালে নাইজারের সামরিক বাহিনীর ওপর চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল বৌবকর হাসান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাইজারের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইনাতেসের একটি সামরিক ঘাঁটিতে কয়েকশত জঙ্গি হামলা চালায়, এরপর তিন ঘণ্টা ধরে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলে। “লড়াইটি অত্যন্ত সহিংস ছিল। শত্রুরা কামিকাজে যান ব্যবহারের পাশাপাশি মর্টারও ব্যবহার করেছে,” বলেন তিনি। এ হামলায় আরও ১২ জন সৈন্য আহত হয়েছে এবং অজ্ঞাত সংখ্যক সৈন্য নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। লড়াইয়ে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ জঙ্গিও নিহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে জানিয়েছে, ৩০ জন সৈন্য এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এর আগে মে ও জুলাই মাসে একই এলাকায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার জঙ্গিদের দুটি হামলায় নাইজারের প্রায় ৫০ জন সৈন্য নিহত হয়েছিল।

Leave a comment