কলেজ ছাত্র ইমনের মরদেহ কবর থেকে ১০ দিন পর উত্তোলন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নিহত ইমনের ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের ১০দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় মিরপুর গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থানে তাকে দাফন করা কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে কবর থেকে এ মরদেহ উত্তোলন করেন পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, ‘আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা ইমনের কবর থেকে তার মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’
গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে” মারা যায় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজছাত্র ইমন (২০)। ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের।
ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করে নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। তিনি মামলায় আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসকে আসামী করেন।
মামলার দিন ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মতিনসহ মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে আটক করে পুলিশ। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে উপজেলা প্রশাসন। সেই সাথে ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ৯জন রোগীর মধ্যে ৬ জন রোগীকে পরিবারের নিকট হস্তান্তর এবং বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়াস্থ ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ প্রেরণ করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।