চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিমিট-বাংলাদেশ
স্টাফ রিপোর্টার: ফল আর্মি ওয়ার্ম বাংলাদেশে একটি নতুন এবং মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। এই পোকাটি প্রায় ৮০টি ফসলে আক্রমণ করে থাকে; তবে তারমধ্যে এরা ভুট্টা ফসলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশে এই পোকা গত ২০১৮ সালের নভেম্বর মাস হতে ভুট্টা ফসলে আক্রমণ শুরু করেছে এবং বিগত খরিফ মরসুমে অনেক অঞ্চলে তাদের ব্যাপক আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়।
বাংলাদেশে ২০১৯-২০ রবি মরসুমে ওই ফসলে ফল আর্মিওয়ার্ম পোকার আক্রমণের মাত্রা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের (সিমিট) কারিগরি ও ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় ওই পোকাটির নিবিড় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। সেজন্য পোকাটি শনাক্তকরণ, মাঠপর্যায়ে এদের বিস্তৃতির ধরণ এবং সেই সাথে এদের সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর মাঠপর্যায়ের কর্মরত বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা একান্তভাবে জরুরি হয়ে পড়েছে।
সে লক্ষ্যে সিমিট-বাংলাদেশ, ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায় পাঁচটি ৩দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিগত ১২ নভেম্বর হতে শুরু হয়ে আগামী ২ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত চলবে। চুয়াডাঙ্গার তিন তারকা হোটেল সাহিদ প্যালেস’র রাফেল কনফারেন্স হলে পৃথক ৫টি কর্মসূচি উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব কমলা রঞ্জন দাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি ড. আব্দুল মুহিত, পরিচালক চন্ডি দাস কুন্ডু, পরিচালক (প্ল্যান প্রোটেকশন উইং) এজেড এম সাব্বির ইবনে জাহান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএআরআই) এর মহাপরিচালক ডিজি ইউসুফ মিয়া, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইসরাইল হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া ফল আর্মিওয়ার্ম পোকাটির নিবিড় পর্যবেক্ষণ তথা তাদের সংখ্যা উপস্থিতি নির্ধারণের জন্য সিমিট বাংলাদেশ ‘অ্যাপস’ নামে একটি অ্যাপস তৈরি করেছে ওই অ্যাপস ভুট্টা, বাঁধাকপি, টমেটো এবং অন্যান্য ফসলের পোকার সংখ্যা ও উপস্থিতি নির্ধারণ করবে যা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। কিভাবে এই অ্যাপসটি ব্যবহৃত হবে সে বিষয়ে নভেম্বর মাসে সম্প্রসারণ কর্মীগণ প্রশিক্ষিত হবেন, ফলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফল আর্মি ওয়ার্ম’র আক্রমণের প্রকৃত সময়ের তথ্য …(Real time data)… প্রদান শুরু হবে যা সমন্বিত বালাই দমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহৃত হবে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক তথ্য ও মনিটরিং সিস্টেমের সাথে সমন্বয় করা যেতে পারে।