স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সোনারপাচারের আলাদা দুটি মামলার রায়ে দুই জনকে ১৪ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম। দ-প্রাপ্তরা হলেন বরিশাল জেলার দরিকর উপজেলার বানুড়িপাড়া গ্রামের সাইদ নুরুল হকের ছেলে সৈয়দ রুমান (৩০) ও মুন্সিগঞ্জ জেলার দ্বীতপুর উপজেলার লোহজং গ্রামের সারাফাত শরীফের ছেলে মেসরিন আহমেদ (৪২)।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২০ জুন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ভারতের প্রবেশের সময় বিজিবির হাতে ধরা পড়ে সৈয়দ রুমান ও মেসরিন আহমেদ। এ সময় আটক রুমানের কাছ থেকে ৫৪ ভরি ও মেসরিনের কাছ থেকে ৫০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দুই জনের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগে এনে দামুড়হুদা থানায় আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত সোনা পাচারের মামলায় দামুড়হুদা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মিল্টন সরকার তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২৩ জুলাই সৈয়দ রুমানকে ও গাজী আবু কাইয়ুম একই বছরের ১৭ আগস্ট মেসরিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাজর্শিট দাখিল করেন।
মামলার বিচারকার্য শুরু হলে বিজ্ঞ আদালত সৈয়দ রুমানের মামলায় ৮ জন ও মেসরিনের মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন করেন। গতকাল মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক অভিযুক্ত দুই জনকেই সোনা পাচার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের দুই জনকেই ১৪ বছর করে কারাদ- দেন। একই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদ- দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গায় সোনাপাচার মামলায় দু’জনের ১৪ বছরের কারাদ-
