অ্যানথ্রাক্স নিয়ে গাংনী উপজেলায় উচ্চপর্যায়ের গবেষণা শুরু

গাংনী প্রতিনিধি: অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ার কারণ, উৎপত্তি ও প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় গবেষণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ উপজেলায় গবাদিপশু ও মানুষ অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সরকারের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) উচ্চপর্যায়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গবেষণা প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও আইইডিসিআর’র সমন্বয়ে গতকাল বুধবার মেহেরপুর সিভিল সার্জন সম্মেলন কক্ষে ২দিনের কর্মশালায় এ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
চলতি বছরের শুরু থেকে আগস্ট পর্যন্ত গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৫ শতাধিক অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। অপরদিকে মারা যায় অনেক গবাদিপশু। অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা আক্রান্ত গবাদিপশুর মাংস নাড়াচাড়ার মাধ্যমে মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। ব্যাপকভাবে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধানের পর আইইডিসিআর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উচ্চ পর্যায়ের টিম সরজমিন তথ্য সংগ্রহ করার পর এ গবেষণা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
গবেষণা প্রস্তাবনা চূড়ান্তকরণ কর্মশালায় আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মিরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরার নেতৃত্বে আইইডিসিআর’র চিকিৎসক গবেষক ও বিজ্ঞানীদের দলের সদস্যরা ছাড়াও মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. আখতারুজ্জামান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমান ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমও ডা. সজীব উদ্দীন স্বাধীনসহ স্বাস্থ্য, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অংশ নেয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত রোগী তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. সজিব উদ্দীন স্বাধীন বলেন, গবাদিপশুর থেকে অ্যানথ্রাক্স মানুষে সংক্রিমত হয়। এ গবেষণার মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত মানুষ ও গবাদিপশুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। গবেষণা তথ্য সংগ্রহ শেষে প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাবে গবেষণা দল। যার মধ্যদিয়ে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।