স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার পান্না সিনেমাহল চত্বরে আয়োজিত মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানের গতকাল বুধবার ছিলো প্রশাসনের কর্মকর্তা, চেম্বারের প্রতিনিধি, সাহিত্য পরিষদ, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ প্রতিদিনই অনুষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি করে চলেছেন, করছেন আয়োজক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সাথে কুশল বিনিময় এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ।
গতকাল বুধবার রাতে অনুষ্ঠান পরিদর্শনে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কলিমুল্লাহ, দামুড়হুদা সার্কেল আবু রাসেল, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গার চেম্বারের নেতৃবৃন্দ, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনি সংগঠনের প্রতিনিধিগণ।
এদিকে ভক্ত, পূজারী এবং পুন্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে আরও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহানামের ভাবান্তরে ডুব দিয়ে তার মাহাত্ম্য উপলদ্ধিপূর্বক নিজেদেরকে সার্থক ও কৃতার্থ করছেন ভক্ত, পূজারী এবং পুন্যার্থীরা। ভক্ত, পুজারী এবং দর্শনার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উপচে পড়া ভিড় সামলানোর জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান আয়োজক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। সেই সাথে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ানো হয়েছে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি শাদা পোশাকে পুলিশের সংখ্যা। বসানো হয়েছে জেলা পুলিশ এবং আয়োজকদের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা সিকিউরিটি গেট। অনুষ্ঠানের দুর্ঘটনা এড়াতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আগত নারী পুরুষদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদা সিকিউরিটি গেট দিয়ে চেকিং এর মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক রাখা হচ্ছে সিসি টিভির মনিটরিংয়ে।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার রয়েছে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দের অষ্টকালীন লীলা কীর্তন। লীলা রাসমৃত স্মরণে অষ্টকালীন লীলা কীর্তন পরিবেশন করবেন বগুড়ার শ্রী বাসনা রানী মোহন্ত, যশোরের উত্তম আনন্দ দাস উজ্জ্বল এবং ফরিদপুরের শ্রী বন্ধুদাস সম্প্রদায়।