বিনোদন ডেস্ক: শিল্পী সমিতি কী শিল্পীদের অসম্মান করার জায়গা? প্রশ্ন করেছেন ঢাকাই ছবির ‘প্রিয়দর্শিনী’ নায়িকা মৌসুমী। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় এফডিসিতে খল অভিনেতা ড্যানিরাজ কর্তৃক অপমানিত হন মৌসুমী। এছাড়াও সমিতির বিগদ দুই বছরে মিশা-জায়েদ কমিট প্রায় ১৮১ জন শিল্পীর ভোটাধিকার খর্ব করেছে উল্লেখ করে বুধবার সাংবাদিকেদের সামনে এ প্রশ্ন রাখেন মৌসুমী। এ সময় মৌসুমী বলেন, ‘শিল্পীদের বড় চাওয়া হচ্ছে আত্মসম্মান। এই আত্মসম্মানের জন্যই তারা দিনের পর দিন নানা প্রতিকূলতা সত্বেও কাজ করে থাকেন। চলচ্চিত্রশিল্পী পরিচয় দিয়ে তারা সম্মানীত বোধ করেন। সেই সম্মান যদি স্বয়ং নিজের ঘর থেকেই কেড়ে নেয়া হয় তাহলে তাদের বাইরের মানুষ কীভাবে সম্মান করবে? তাই শিল্পীদের অধিকার ও সম্মানের জায়গা ঠিক রাখতেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’ ২০১৯-২১ সেশনের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মৌসুমী। চলচ্চিত্রাঙ্গনে যারা খোঁজ-খবর রাখেন তাদের অনেকেরই জানা- মৌসুমীর সঙ্গে মিশা সওদাগরের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। তবে সেই পরিচয়কে ছাপিয়ে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তারা। এদিকে মৌসুমীর বিপরীতে মিশা-জায়েদ প্যানেল অভিযোগ এনেছে তিন গত মঙ্গলবার বহিরাগতদের নিয়ে এফডিসিতে মিছিল করেছে এবং শোডউন দিয়েছে। এ বিষয়ে মৌসুমী বলেন, বাহিরাগত কাদের বলছেন আপনারা? যারা শত শত ছবিতে অভিনয় করেছেন। যাদের সমিতির ভোটারের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন তাদের বহিরাগত বানিয়ে দিচ্ছেন? এটা ঠিক নয়। তারাও শিল্পী। তাদেরও সম্মান দিতে শিখুন।’ এ সময় সমিতির ভোটাধিকার হারানো অনেক শিল্পীরাই মৌসুমীর কাছে তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার আবেদন করে কান্না করতে থাকেন। তাদের চোখের পানি দেখে নিজের চোখের পানিও ধরে পারেননি ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ নায়িকা।