অজ্ঞান? প্রাথমিক পরীক্ষায় খোদ চিকিৎসকও সন্দিহান
স্টাফ রিপোর্টার: সত্যিই কি জ্ঞান হারিয়ে পড়েছিলেন? নাকি ভান করছেন? চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদের নিকট থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক এরকমই মন্তব্য করেন।
কথা বলতে পারছেন না অথচ তিনি নিজ হাতে তার ঘটনার বর্ণনা অংশ বিশেষ লিখে জানাচ্ছেন। কেউ কথা বলার ক্ষমতা হারালে নিজ হাতে লিখে বিস্তারিত বর্ণনা করার বিষয়টি অবশ্যই সন্দেহজনক বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
মুখে না বলে লিখে তিনি কি জানাচ্ছেন? পরিচয় দিতে গিয়ে ঠিকানা লেখেন, নাম মাহামুদুর রহমান, পিতা মৃত তোতা মিয়া, গ্রাম পাখিআনা, থানা বড় লেখা, জেলা মৌলভীবাজার। কীভাবে অজ্ঞান হলেন? কবে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন? জবাবে তিনি লিখেছেন, গত ৭ নভেম্বর বাড়ি থেকে ঢাকায় পৌঁছুনোর পর সুন্দরবন এক্সপ্রেসযোগে খুলনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। ট্রেনে আমার নাকের সামনে রুমাল ধরার পর আর কিছু জানি না।
নভেম্বরে বাড়ি থেকে বের হলেন, এখন ডিসেম্বর। এতোদিন কোথায় ছিলেন। অপলোক দৃষ্টিতে তিনি কি বোঝালেন? উপস্থিত কেউই বুঝলেন না। তাকে গতকাল সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা জান্নাতুল মওলা কবরস্থান জামে মসজিদের অদূরবর্তী স্থান থেকে দরবেশ আলীর ছেলে আব্দুল খালেকসহ তার বন্ধুদের মধ্যে অনিক, শাওন, সোহেল ও জাহিদ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
মাহমুদুর রহমান খুলনায় এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বলে লিখে জানিয়েছেন। পকেটে একটা প্রেসক্রিপশন আর কয়েকটি ওষুধ ছাড়া তেমন কিছু নেই। পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, সিলেট ওসমানি হাসপাতালে ব্রাদার হিসেবে চাকরি করি। পথে বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। তার এ তথ্য পেয়েই সম্প্রতি একই এলাকার এক ছদ্মবেশী হাজি বলে পরিচয় দিয়ে কীভাবে অর্থ তুলে ট্রেন ধরেন তা আলোচনায় উঠে আসে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, এ লোকটাও যে সেই ছদ্মবেশী হাজির মতোই নয় তা বিশ্বাস করবো কীভাবে? অনেকেই তো বিপদে পড়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ছে।