স্টাফ রিপোর্টার: ‘শহর আমাদের, পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও আমাদের’ এ সেøাগানে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে শেষ হয়। জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় শহর পরিষ্কার রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ, ডাস্টবিন স্থাপন এবং শহরে গাড়ি দিয়ে পানি ছিটানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন ও খাইরুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ মো. ফকরুল আলম খান, ট্রাফিক পরিদর্শক আহসান হাবিব, প্যানেল মেয়র মুন্সী রেজাউল করিম খোকন, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম মালিক, জাহাঙ্গীর আলম, নাজরিন পারভীন মলি, গোলাম মোস্তফা শেখ, সিরাজুল ইসলাম মনি, শাহীনা সুলতানা রুবি, সুলতানা আরা বেগম, শেফালী খাতুন, নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলী বিশ্বাস, পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নার্গিস জাহান ও টিকাদান সুপারভাইজার আলী হোসেনসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, যদি আমরা প্রত্যেকে মনে করি একটি সুন্দর শহরে বাস করতে চাই, আমরা নিজেরা দায়িত্ব না নিই তাহলে কখনো পরিষ্কার হবে না। পৃথিবীর উন্নত দেশে সিগারেটের মুতা রাস্তায় পাবেন না। কারণ ওই দেশের নাগরিকরা দায়িত্ব পালন করেন। শহরে ডাস্টবিন সেট করতে হবে। সবাই মিলে যত্রতত্র ময়লা না ফেলি, তাহলে আমরা পরিষ্কার শহর দেখতে পাবো। কাপড়-চোপড় পড়ে শরীর পরিষ্কার রাখলে হবে না। চারপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। শহরের রাস্তায় ময়লা ফেলবো না। ডাস্টবিনে ফেলবো। প্রকাশ্যে কোনো ময়লা ফেলবেন না। ময়লা ভাগাড়ে ফেলবে পৌরসভা। আপনার সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেন তবেই পরিষ্কার হবে। ব্যবসায়ীরা দোকানের ময়লা রাতে ফেলবেন। পৌরসভা সকালে নিয়ে যাবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বলবো আপনারা বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার করবেন। যাতে প্রত্যেকটা মানুষ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাটাকে আন্দোলন হিসেবে নেয়। নিজের শহরটা আমার নিজের দায়িত্ব পরিষ্কার রাখা মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। রাস্তায় পৌরসভা পানি ছিটিয়ে দেবে। পৌরসভা দায়িত্ব পালন করবে এবং পৌর নাগরিকরাও তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। তাহলে চুয়াডাঙ্গা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে। আমরা কেউ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবো না। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ময়লা ফেলবো।
বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশে শহরের বিল্ডিংয়ের রঙ পাল্টে দিতে পারেন মেয়র। বিশ্বকাপের সময় রাজধানী ঢাকায় বাড়ির রঙ পরিবর্তন করা হয়। যারা এই শহরে আসবেন তারা চমকে যাবেন। ভারতের একটি শহরে বাড়ির পিংক রঙ করা হয় বৃটিশ রাণীর আগমন উপলক্ষে।
চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসীকে কিভাবে ভালো রাখা যায় ও কিভাবে ধুলামুক্ত রাখা যায়; সে বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আমাকে নিয়ে বসেছিলেন। ময়লা প্রতিদিন পরিষ্কার করার চেষ্টা করি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আন্তরিক চেষ্টা এবং পৌরবাসী সহযোগিতা করলে আমরা শহর পরিষ্কার রাখতে পারবো।