স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার ৪নং দৌলতপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের একই পরিবারে ৪জন প্রতিবন্ধী। স্থানীয় মেম্বার সাইদুর রহমান জানান, গ্রামের শাহাদত ম-ল খোঁড়া ও তাঁর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৩), আপন খালা হাসিরন নেছা (৬০) স্বামী মৃত রোমজান আলী ও তার ছোটখালা কুলসুম (৪১) এরা একই পরিবারের সকল সদস্যই প্রতিবন্ধী যা মাঝে একজনের পায়ে সমস্যা ও অন্য তিন জন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যা নজিরবিহীন। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলামের বাবা শাহাদত ম-ল বলেন, আমি একজন দুস্থ অসহায় গরিব মানুষ, তারপর আবার ঠিকমত চলতে পারি না। আমার পায়ে সমস্যা, এই নিয়ে নিরূপায় হয়ে পরের ক্ষেতে কাজ করে চালাতে হয় সংসার। যদি কাজ না হয়তো সেদিন না খেয়েই থাকতে হয়। কারণ আমার সংসারের আমি ছাড়া সবাই প্রতিবন্ধী। আর আমার দৈনিক আয় ২শ টাকা। যা বর্তমান বাজারে কিছুই হয় না, যার ফলে খুবই কষ্ট করে চলতে হচ্ছে। তাছাড়া আপনারা দেখুন আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই; শুনেছি প্রধানমন্ত্রী অসহায় মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছেন, যদি আপনাদের মাধ্যমে একটি ঘর পেতাম তাহলে এই প্রতিবন্ধী পাগলদের নিয়ে কোনো রকম ঠাঁই গুজে থাকতে পারতাম। সরকারি কোনো সহযোগিতা পান কি-না? জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার পরিবারে আমিসহ ৩ জন প্রতিবন্ধী; তার মাঝে শহিদুল তিনমাস পর ২১শ টাকা পায়; আর কুলসুম পাই ১৫শ টাকা এবং আর আমার আয় দিয়েই চলে আমাদের সংসার। ঘরের ব্যাপারে আবেদন করেছেন কি-না? জানতে চাইলে জানান, আবেদন কি? তখন দরখস্ত ও মেম্বার বা চেয়ারম্যান বললে বলেন, আমরা বলতে পারি না আমাদের হয়ে বলবে এমন কেউ নেই। এমন অবাক করা কথা শোনার পর প্রতিবেশীদের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের গ্রামের কেউ ঘর পায়নি। আর তাই এদের ব্যাপারে বলা হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, ঘটনাটি আসলেই খুবি মর্মাহত এটা আমার জানার বাইরে ছিলো স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারাও আমাকে কখনো বলেনি; এমনকি তারাও কখনো আসেনি; তবে যখন জানলাম আমি এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা করবো এবং নিজে তাদের দেখতে যাবো।