দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

ইমন সভাপতি মিঠু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত
দর্শনা অফিস: কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে দামুড়হুদার ব্যবসায়ী মোকামখ্যাত ঐতিহ্যবাহী কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। ১৭ পদের বিপরীতে ৩৫ প্রার্থীর ভোট লড়াই ছিলো চোখে পড়ার মতো। সকল প্রার্থীর পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে যেনো ঢেকে রাখা হয় গোটা কার্পাসডাঙ্গা বাজার। এ নির্বাচনে সভাপতি ইমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাজেদুল ইসলাম মিঠু। গতকাল শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়। কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩টি বুথে ৭২৩ জন ভোটারের মধ্যে ৬৮৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয় ভোট গনণা। রাত ৯ টার দিকে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে। এতে সভাপতি পদে ইমদাদুল হক ইমন (ছাতা) প্রতীকে ৩৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজিবর রহমান সিজার (গরুর গাড়ী) প্রতীকে ২১৭ ও শওকত আলী (চেয়ার) প্রতীকে পেয়েছেন ১২৮ ভোট। সহ-সভাপতি পদে আলমগীর হোসেন রাসেল (চশমা) প্রতীকে ৩৬১ ও রফিকুল ইসলাম (হাঁস) প্রতীকে ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুর রব (কলস) প্রতীকে ৩১৯ ও মোস্তাফিজুর রহমান (আনারস) প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৩ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে সাজেদুল ইসলাম মিঠু (মই) প্রতীকে ৪০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাফিজুর রহমান কচি (মটরসাইকেল) প্রতীকে ২২৫, আরিফুল ইসলাম (হরিণ) প্রতীকে ৩৭ ও হাফিজুর রহমান (মাছ) প্রতীকে পেয়েছেন ২২ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক (মোবাইল) প্রতীকে ৪৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবুল কালাম আজাদ (মোরগ) ২২৭ ও মনিরুজ্জামান (দেয়ালঘড়ি) প্রতীকে পেয়েছেন ১০০ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খোরশেদ আলম (বক) প্রতীকে ৪২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ফরিদ হাসান (প্রজাপতি) প্রতীকে পেয়েছেন ২১৯ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে আব্দুস সামাদ (আম) প্রতীকে ৩১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি শিলু খান (কুড়–ল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৮ ভোট। দফতর সম্পাদক পদে হেলাল উদ্দিন (গোলাপ ফুল) প্রতীকে ৩৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি রবিউল হক (বাঘ) প্রতীকে পেয়েছেন ২৭২ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আরিফুল ইসলাম আরিফ (হাতি) প্রতীকে ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বি নাজমুল হক (ফুটবল) প্রতীকে পেয়েছেন ৩২২ ভোট। সমিতির ৮টি সদস্য পদের বিপরীতে ভোট যুদ্ধে লড়াই করেন ১৩ প্রার্থী। এদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম (বই) প্রতীকে ৪৭৯, আব্দুস সামাদ (কলা) প্রতীকে ৪৪২, আবু সাঈদ (ঘোড়া) প্রতীকে ৩৯৫, মিজানুর রহমান (ডাব) প্রতীকে ৩৪৪, ফারুক হোসেন (হাতপাখা) প্রতীকে ৩৩৯, শাহীন আলী (কবুতর) প্রতীকে ৩৩৭, হেলাল উদ্দিন (জগ) প্রতীকে ৩৩০ ও আবু সুলতান (তালা) প্রতীকে ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মনোয়ার হোসেন খাবলী (ঘড়ি) প্রতীকে ২৮৮, ফরহাদ হোসেন (খেজুর গাছ) প্রতীকে ২৮৬, আবুল হাসান (কাইচি) প্রতীকে ২৭৮, কামাল হোসেন (গাভী গরু) প্রতীকে ২৩৭ ও জাকির হোসেন (টেলিভিশন) প্রতীকে ২১১ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুর রহমান। নির্বাচন চলাকালীন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সহিদুল ইসলাম। দ্বি-বার্ষিক এ নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গোলাম ইউসুফ। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে মোখলেসুর রহমান রিপন, আব্দুস সালাম, আশরাফুল হক ও ডা. মিনজুল হোসেন।