স্টাফ রিপোর্টার: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০২ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। দেশের কোনো সংসদ নির্বাচনে এতো বেশি প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। এদের বেশির ভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি-জেপি ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীও রয়েছেন। তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী ঘোষণা করে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।
৩৩ জেলায় ১৬৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় এসব প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারীদের বেশির ভাগই জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে ৪৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাতিল হওয়া ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১৮ আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো না। এবারই প্রথম সর্বোচ্চ সংখ্যক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। শরীয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার সব কটি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় এ দু জেলায় ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হবে না।
ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার সারাদেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারিত ছিলো। সারাদেশে বিপুলসংখ্যক প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও দলের অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের অভিযোগ, বিভিন্ন আসনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদন গ্রহণ করেননি। জোটের জন্য ছেড়ে দেয়া অনেক আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ৬৪ জেলার ৩০০টি সংসদীয় আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন- ঠাকুরগাঁও-২ মো. দবিরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ, রংপুর-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, রংপুর-৪ টিপু মুন্সী, রংপুর-৫ এইচএম আশিকুর রহমান, গাইবান্দা-৫ মো. ফজলে রাব্বি মিয়া, বগুড়া-১ আবদুল মান্নান, বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্না (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৩ মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, (জাতীয় পার্টি-জেপি), বগুড়া-৫ মো. হাবিবর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. আবদুল ওয়াদুদ, নওগাঁ-৬ মো. ইসরাফিল আলম, রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ ফজলে হোসেন বাদশা (ওয়ার্কার্স পার্টি), রাজশাহী-৪ এনামুল হক, নাটোর-১ মো. আবুল কালাম, নাটোর-২ মো.শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-৪ মো. আবদুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ-১ মো. নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ মো. হাবিবে মিল্লাত, সিরাজগঞ্জ-৩ মো. ইসহাক হোসেন তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৬ মো. হাসিবুর রহমান স্বপন, যশোর-১ শেখ আফিলউদ্দিন, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ মীর শওকত আলী বাদশা, বাগেরহাট-৩ তালুকদার আবদুল খালেক, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৬ আবদুল হাফিজ মল্লিক, ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ একেএমএ আউয়াল, পিরোজপুর-২ আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-১ মো. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান, টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৭ মো. একাব্বর হোসেন, টাঙ্গাইল-৮ শওকত মোমেন শাহজাহান, ময়মনসিংহ-১ প্রমোদ মানকিন, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ-৫ সালাইদ্দিন আহমেদ মুফতি, ময়মনসিংহ-৯ আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ মো. সোহরাব উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৬ নজমুল আহসান পাপন, মানিকগঞ্জ-২ মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃনাল কান্তি দাস, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-১০ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৯ ডা. মো. এনামুর রহমান, ঢাকা-২০ এমএ মালেক, গাজীপুর-১ আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ মো. রহমত আলী, গাজীপুর-৫ মেহের আফরোজ চুমকি, নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ-২ মো. নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী, রাজবাড়ী-২ মো.জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-১ মো. আবদুর রহমান, ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাদারীপুর-১ নূরে আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ শাহাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, শরীয়তপুর-১ বিএম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-২ শওকত আলী, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সিলেট-১ আবুল মাল আবদুল মুহিত, মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দ মোহসিন আলী, মৌলভীবাজার-৪ মো. আবদুস শহীদ, কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক আলী আশরাফ, কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল, চাঁদপুর-১ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, চাঁদপুর-৩ ড. দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, চাঁদপুর-৫ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীরউত্তম), ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, লক্ষীপুর-৩ একেএম শাহজাহান কামাল, চট্টগ্রাম-৭ মো. হাছান মাহমুদ, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক ও কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল।