দর্শনায় যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যা মামলা : অভিযুক্ত হত্যাকারীদের আরও ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার

দর্শনা অফিস: দর্শনায় যুবলীগ কর্মী পল্টু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামি জেলহাজতে থাকলেও সহযোগিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার শুরু করেছে পুলিশ। এরইমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পল্টু হত্যা মামলায় সোপর্দ করা হয়েছে আদালতে। রিমান্ডের আবেদনের প্রক্রিয়া করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পল্টু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই মহব্বত আলী গতপরশু বুধবার রাত আড়াইটার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার আরফান আলীর ছেলে আরিফ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কালু ওরফে সাধু ও ইসলাম বাজারপাড়ার আজগার কশাইয়ের ছেলে আকাশকে।
এসআই মহব্বত আলী জানান, পল্টু হত্যা মামলা তদন্তকালীন প্রমাণিত হয়েছে গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকা-ের সাথে জড়িত। পল্টু হত্যাকা-ের পক্ষে ও আসামিদের বিপক্ষে যারা প্রচার-প্রচারণা চালাবে তারা কোনো না কোনোভাবে হত্যাকারীদের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হবে। গ্রেফতারকৃত ৩ জনকেই গতকাল বৃহস্পতিবার পল্টু হত্যা মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেই সাথে আকাশ, আরিফ ও কালুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলেও জানান এসআই মহব্বত আলী।
উল্লেখ্য গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে দর্শনা রেলগেট সংলগ্ন রুস্তমের হোটেলের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর পশ্চিমপাড়ার আব্দুর রউফের ছেলে যুবলীগ কর্মী নঈমুদ্দিন পল্টুকে। গত ২৪ আগস্ট নিহতের বড়ভাই দর্শনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈনুদ্দিন আহমেদ মন্টু বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় দর্শনা পৌর এলাকার মোবারকপাড়ার আলী হোসেনের খানের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সহসম্পাদক আব্দুল মান্নান খান, একইপাড়ার কবির খালাশির ছেলে দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা, দর্শনা পুরাতন বাজারপাড়ার জিয়াউল হকের ছেলে যুবলীগ নেতা রাসেল রেজা দিপু, মোবারকপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক কম্পাউন্ডারের ছেলে বাংলা, একইপাড়ার বাদল খানের ছেলে আলম, শামসুল হকের ছেলে সোহেল ও ইমারত হোসেনের ছেলে আশিকসহ অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে। অবশেষে গত ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ১০ দিনের অন্তবর্তীকালীন জামিন পায় ৭ জনই। গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামিনের শেষ দিন ছিলো। জামিনের দিন শেষ হওয়ার ৩ দিন আগেই গত সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করে মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামি। এসময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রবিউল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করে ৭ জনকেই জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পল্টু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামির তালিকায় ৭ জন থাকলেও জেল হাজতির সংখ্যা দাঁড়ালো ১০জনে।