আলমডাঙ্গায় মাদকব্যবসায়ীদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মাদকদ্রব্য হিসেবে বহুল ব্যবহৃত ট্যাপেন্টা ও পেন্টাডল ট্যাবলেট এখন আলমডাঙ্গার মাদকব্যবসায়ীদের নিকট ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা সাপ্লাই দিচ্ছেন বলে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হাতে আটক সুবিন্দর কুমার নামে এক মাদকবিক্রেতা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এ তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানাধীন বৃত্তিপাড়ার সুবল কুমারের ছেলে সুবিন্দর ওরফে মিঠুন ওরফে বিন্দু (২৮) দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গা শহরে ভাড়া থাকেন। বর্তমানে কলেজপাড়ার মৃত আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সুতার মিস্ত্রির কাজের আড়ালে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া বাড়িতে ও শহরে ভ্রাম্যমাণ মাদকব্যবসা করে আসছেন। গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথিডিন বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত সুবিন্দর। বর্তমানে বিখ্যাত এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ব্যাথানাশক ট্যাবলেট ‘ট্যাপেন্টা’ ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ‘পেন্টাডল’ ট্যবলেটের কদর ও মনোযোগ কেড়েছে আলমডাঙ্গা ও আশপাশের মাদকসেবীদের। এলাকায় এখন সর্বাধিক বিক্রি হচ্ছে ট্যাপেন্টা ও পেন্টাডল ট্যাবলেট। এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশের হাতে আটক চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী সুবিন্দর কুমার ওরফে মিঠুন ওরফে বিন্দু। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরাই ট্যাপেন্টা ও পেন্টাডল ট্যাবলেট বিন্দুর নিকট সাপ্লাই দিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদ জানান, নেশার উদ্দেশে এ ব্যাথানাশক ট্যাপেন্টার ও পেন্টাডল ট্যাবলেট দীর্ঘদিন সেবন করলে কিডনি-লিভার ড্যামেজ, ব্রেনস্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।