শৈলকুপার কচুয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাচেরকোল ইউনিয়নের কচুয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার না থাকায় একজন উপসহকারী দিয়ে চিকিৎসা চলছে। ফলে গ্রামের মানুষ কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না। গত বছর এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুন করে নির্মাণ করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৬ সালে কচুয়া বাজারে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করে যশোর জেলা বোর্ড। সে আমলে সেখানে একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি প্রত্যন্ত গ্রামে থেকে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা দিতেন। একটি টিনের ঘরে এ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা দানের কাজ চলতো। আশপাশের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ উপকৃত হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ দাতব্য চিকিৎসালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। নামকরণ করা হয় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। এরপর দীর্ঘ ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে কোনো ডাক্তার আসেনি। ২০১৪ সালে একজন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি সেখানে আসেননি। অন্যত্র বদলি হয়ে যান। একজন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার (সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট) এ স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি দেখভাল করে আসছেন। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টিনের ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। গত বছর পাশে নতুন জায়গায় দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ডাক্তার না থাকায় সেবার মানের উন্নতি হয়নি। প্রতিদিন বিভিন্ন গ্রাম থেকে একশর মতো রোগী স্বাস্থ্যসেবা পেতে এখানে আসে।
এ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগত রোগী লক্ষ্মী রানী বলেন, ডাক্তার নেই। একজন উপসহকারী সামান্য ওষুধ দেন। আগত অন্য রোগীরাও একই ধরনের কথা বলে জানান, তারা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। কাচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার মামুন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারসহ অন্যান্য স্টাফ নিয়োগের দাবি জানান।
ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ‘জেলায় ডাক্তারের অভাব রয়েছে। উপজেলা হাসপাতালগুলোতেই ডাক্তার দেয়া যাচ্ছে না। নতুন ডাক্তার নিয়োগ হলে গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার দেয়া হবে।’

Leave a comment