মাথাভাঙ্গা মনিটর: মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান ঝড় তুলেই দলের জয়ের পথ রচনা করে দেন। দুজনে শেষ ছয় ওভার চার বলে যোগ করেন ১০৭ রান। দল পেয়ে যায় ১৯৭ রানের সংগ্রহ। স্পিনে সমৃদ্ধ আফগানদের বিপক্ষে ওই রান তোলা সহজ কাজ নয়। জিততে হলে তাই জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই ভালো ব্যাটিং করতে হতো। কিন্তু তারা তা পারেনি। এমনকি দলের কেউই জয়ের সম্ভাবনা জাগানোর মতো ইনিংস খেলতে পারেনি। আফগানদের বিপক্ষে শনিবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে তাই জিম্বাবুয়ে ২৮ রানে হেরেছে।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক মাসাকাদজা দলের ২৫ রানে ফিরে যান। এরপর ৩০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ফিরে যান ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামরা। দলের রান একশ’ হবার আগেই ৬ উইকেট হারায় টি-২০ র্যাংকিংয়ে ১৪তে থাকা জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তবে তবে শেষ দিকে রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাভারা জয়ের ব্যবধান কমান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো ইনিংস খেলা বার্ল ২৫ রান করেন। চাকাভা খেলেন ২২ বলে ৪২ রানের ভালো এক ইনিংস। শেষ দিকে নেভিল মাসজিভা এবং কাইল জারভিস ১৫ করে রান করেন। মুতুমবুজি খেলেন ২০ রানের ইনিংস। জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলতে পারে। আফগানিস্তানের হয়ে রশিদ খান এবং ফারিদ মালিক দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করা আফগানিস্তান ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান যোগ করে। হযরতউল্লাহ জাজাই ১৪ বলে ১৩ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার রহমনউল্লাহ গুরবাজ ৪৩ রান করেন ২৪ বলে। তিনি পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। এরপর নাজিব তারাকা ও আসগর আফগান ১৪ করে রান তুলে ফিরে যান। জিম্বাবুয়ে ৯০ রানে আফগানদের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে। মোহাম্মদ নবী এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন। দুজনে ১০৭ রান যোগ করেন ছয় ওভার চার বলে। নাজিবুল্লাহ ৩০ বলে পাঁচ চার এবং ছয়টি ছয়ে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। রান তোলেন ২৩০ স্ট্রাইক রেটে। মোহাম্মদ নবী শেষ ওভারের শেষ বলে ১৮ বলে চারটি ছক্কায় ৩০ রান করে আউট হন। টেন্ডি সাতারা এবং শন উইলিয়াম দুটি করে উইকেট নেন।