মেহেরপুরে বিদ্যালয়ের জমি দখল ও ক্লাস রুম ভাঙচুরের ঘটনায় মানববন্ধন

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার সুবিদপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল ও ক্লাস রুম ভাঙচুরের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে স্কুলশিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আল মজিবুর, জহিরুল ইসলাম, জেসমিন নাহার ডলি, আব্দুল হাই, তহমিনা খাতুন, আব্দুর রশিদ, জাহিদুর রহমন, নজরুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের দুশতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, স্কুলের পাশে ২০০১ সালে বাবরপাড়ার আব্দুর রশিদের স্ত্রী ফরিদা খাতুনের সাথে স্কুল কর্তৃপক্ষ তিন শতক জমি ক্রয় করে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের নতুন বিল্ডিং নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ চলছে। বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির প্রবাসী সোহরাব হোসেনের স্ত্রী পাপিয়ারা খাতুন তিন শতক জমি তাদের দাবি করে গত ১ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর এডিএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ১৪৪ ধারা জারি করে। আমরা গত ১১ তারিখ এ সংক্রান্ত একটি কোর্ট নোটিস পাই। গতকাল (শুক্রবার) সোহরাবের স্ত্রী বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তিন শতক জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা জমির ওপরে থাকা একটি ক্লাস রুম ভাঙচুর চালায়। পরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, সোহরাব হোসেনের স্ত্রী দাবি করে এই তিন শতকসহ মোট ২৮ শতক জমি ২০০৮ সালে তারা একই মালিকের কাছে থেকে ক্রয় করেছেন। এ বিষয়ে আজ রোববার মেহেরপুর আদালতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাবের স্ত্রী জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেরা ভাঙচুর করে এখন আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। এতোদিন পর তারা এখন তিন শতক জমির দাবী করছে। আমরা মোট ২৮ শতক জমি ক্রয় করেছি তার মধ্য এই জমি রয়েছে।
সুবিধপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আরিফুল ইসলাম জানান, জমিটা ২০০১ সালে বিদ্যালয় কমিটি ক্রয় করে। এরপর থেকে জমির মালিক এই বিদ্যালয়। তবে এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির জরুরিসভা ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a comment