অপু বিশ্বাস। এদেশের চলচ্চিত্রের সর্বশেষ সুপারস্টার। যার রেকর্ডসংখ্যক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র রয়েছে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে। বর্তমানে চলচ্চিত্রের মন্দাবস্থায় খুব কমসংখ্যক ছবিতে কাজ করলেও স্টেজ শো থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপনচিত্র ও একাধিক ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন তিনি। সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে কথা বললেন ‘হ্যালো তারকার’ সঙ্গে।
কেমন আছেন? নতুন চলচ্চিত্রের খবর বলুন— আমার কাজ তো অভিনয় করা। অভিনয়শিল্পীরা কী বলতে পারে তার ছবিগুলো কবে কখন কিভাবে রিলিজ পাবে। সেটা কিন্তু সবাই পারে না। আর উচিৎও না। এটা নির্মাতা প্রযোজকদের দায়িত্ব। তবে সামনে দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু’ ছবিটি আসছে।
চলচ্চিত্রে ম্যাচিউরিটির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিত্রতারকাদের ছবির সংখ্যা কমে যায় কেন? কারণ আমাদের ভাবনার সঙ্কট। আমরা মুখে বলি, খুব ডিফারেন্ট কাজ করবো। একেবারে অন্যরকম কিছু বানাবো, ফাটিয়ে দেবো। কিন্তু করার সময় সেই ফর্মেট ফিল্ম। প্রতিটি বয়সেরই গল্প থাকে। আমরা কী শ্রীদেবী মম বা ইংলিশ ভিংলিশ-এর মতো ছবির কথা ভাবতে পারি না। কিন্তু ওই যে বললাম আমাদের নির্মাতাদের ভেতরে ভাবনার অনেক সংকীর্ণতা রয়েছে। তারপরও আমি আশাবাদী নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা অবশ্যই দারুণ কিছু করে দেখাবে।
ছেলেকে নিয়ে মাঝে মাঝেই পোস্ট দেন ফেসবুকে। ছেলের স্কুল আর সংসার কেমন চলছে? ছেলেকে ঘিরেই তো আমার জীবন। আব্রারের বাবা-মা দুটোই তো আমি। ওর পৃথিবীজুড়ে যেমন আমিই সব। আমার পৃথিবীজুড়েও ওই সব।
কেন! বাবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বা কথাবার্তা… শাকিব তো এখন মহাব্যস্ত। সেটা তো আপনারা নিজেরাও জানেন। তবে ও যেন নিজের জন্য কিছুটা হলেও সময় রাখে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই অবস্থানে আবারো কী ব্যস্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? দেখুন, কাজের ভেতর কে না থাকতে চায়। আর অভিনয় ছাড়া তো আমি কিছু করিনি এই একটা জীবনে। কিন্তু এখনকার ইন্ডাস্ট্রি কী আমাদের জন্য প্রস্তুত! যে মানের কাজ হচ্ছে বা যে অল্প কয়টা কাজ হচ্ছে, তাতে তো দেখি এ সময়ের শীর্ষ নায়িকাদের হাতেও কাজ নেই। সো ইন্ডাস্ট্রিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
স্টেজ শোতে এখন বেশ ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে আপনার। ভক্তদের সঙ্গে এই যে প্রতিনিয়ত সংযোগ, কেমন উপভোগ করছেন? দারুণ উপভোগ করছি। দেখুন, এক সময় আমি-শাকিব জুটি বেঁধে তো টানা কাজ করেছি। কোনোদিকে ঘুরতেও সময় করে উঠতে পারিনি। ভক্তদের সঙ্গেও সেভাবে সংযোগটা ছিল না। তাই এখন যখন দেশে বা দেশের বাইরে বিভিন্ন সময় স্টেজ শোতে যাই দর্শকদের ভালোবাসা বারবার আমাকে ঋণী করে তোলে।