স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় শিশু শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলামকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছেন উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উর্মী খাতুন। এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীর পরিবারের লোকজন। সোমবার সকালে স্কুলের বাথরুমের তালা খোলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্কুল পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে আহত স্কুলছাত্রের পরিবারের নিকট ক্ষমা চাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। স্কুল পরিচালনা কমিটি বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে।
আহত স্কুলছাত্রের পারিবারিকসূত্রে জানা গেছে, কুড়–লগাছি ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর নতুনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার দিনমজুর হাশেম আলীর ছেলে ও হরিশচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্র হাসিবুল ইসলাম (৮) প্রতিদিনের মতো গত সোমবার সকালে স্কুলে যায়। স্কুলের সহকারী শিক্ষক উর্মী খাতুন টয়লেটের তালা খুলে পানি তুলতে বলেন। তালা পুরোনো হওয়ার কারণে সেটা খুলতে পারে না হাসিবুল ইসলাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষক উর্মী খাতুন তাকে বেধড়ক পেটান। একপর্যায়ে হাসিবুলের চুল ধরে দেয়ালের সাথে ধাক্কা মারেন। এতে হাসিবুল রক্তাক্ত জখম হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে স্কুলেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। হাসিবুল বাড়ি ফিরলে তার পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং স্কুল কমিটির সভাপতি আবু কাইজারকে বিষয়টি জানান।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনছার আলী জানান, ওইদিন দুজন শিক্ষার্থী টয়লেটের চাবি নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিলো। তাদেরকে থামানোর জন্য হাসিবুলকে সহকারী শিক্ষক উর্মী খাতুন আস্তে করে একটা থাপ্পড় দেন। এতে স্কুলের দরজার সাথে ধাক্কা লেগে তার মাথা কেটে যায়। তবে শিক্ষকের এই আচরণ ঠিক হয়নি। এর জন্য আমরা অনুতপ্ত। এর জন্য শিক্ষক উর্মী খাতুন স্কুলছাত্রের পরিবারের নিকট ক্ষমা চেয়েছেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার কিছুই আমি জানি না। তবে কী ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।