৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার দলকালক্ষীপুরে বিলদলকার ধারে ঘোগরাখাল নামক স্থানে জোড়া খুন মামলায় দামুড়হুদা থানা পুলিশ আব্দুর রহিম (৩৫) নামের একজনকে আটক করেছে। গত বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ তাকে আটক করে। ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইব্রাহিম আলী। আটক রহিম উপজেলার গোপালপুর গ্রামের জান মোহাম্মদ দফাদারের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার রাতে উপজেলার দলকালক্ষীপুর দলকার ধারে উপজেলার ছুটিপুর-পোতারপাড়ার শামসুল হক মালিথার ছেলে মিনারুল ও আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালী শিবপুরের ফাকের আলীর ছেলে হাবিবুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে স্থানীয় কৃষকরা ওই স্থানে কাজ করতে গিয়ে দুজনের জবাই করা ক্ষত-বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বিকেল ৪টার দিকে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। দুপুরে নিহত মিনারুলের ভাই জালাল দামুড়হুদা থানায় এসে তার ভাইয়ের লাশ সনাক্ত করেন এবং দামুড়হুদা মডেল থানায় অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন সন্ধ্যার পর অপর নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত মিনারুল উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানোর পর সে ওই মামলায় দীর্ঘদিন হাজতবাস শেষে মাস পাঁচেক আগে জামিনে হাজতমুক্ত হয়ে এলাকায় ফেরে। নিহত মিনারুল মাঠে কৃষি কাজ করতো বলে তার ছোটভাই জালাল উদ্দিন দাবি করলেও এলাকাবাসীরা জানান, সে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল) যনযুদ্ধর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলো। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশসহ এলাকাবাসীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।