স্টাফ রিপোর্টার: প্রেমকা জিনসির (১৭) আত্মহত্যার খবর পেয়েই প্রেমিক হুমায়ুনের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। তাকেও নিতে হয় হাসপাতালে। অবশ্য চিকিৎসক চিকিৎসা দিলে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। আর প্রেমিকা জেনসির মৃতদেহ তার পিতার গ্রাম ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা প্রস্তুতি নেন নিকজনেরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির নজরুল ইসলামের মেয়ে জেনসি এবার এসএসসি পাস করে মহিলা কলেজে ভর্তি হয়েছে। একই সাথে পড়তো ডিঙ্গেদহের সাজ্জাদ আলীর ছেলে হুমায়ুন। সে এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাই শুধু ছিলো না, একজন অপরজনকে প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে ভাবতো। জেনসি তার পিতার নিকট একটি ঘড়ি মেরামত করে আনার জন্য বলে। পিতা নতুন ঘড়ি কিনে দেয়ার কথা বললে অভিমানী হয়ে ওঠে জেনসি। সে গতরাত ৮টার দিকে নিজেদের টিনের ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। তার লাশ নামিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন। এর কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে নেয়া হয় ডিঙ্গেদহের হুমায়ুনকে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে প্রেম সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। এলাকাবাসী বলেছে, প্রেমিকার আত্মহত্যার খবর শুনে হুমায়ুনও ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
অপরদিকে পৃথক ঘটনায় হায়দারপুরের আলতাফ আলীর ছেলে বিপুল (১৭) গতকাল আত্মহত্যার অপচেষ্টা চলায়। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।