স্টাফ রিপোর্টার: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তারেক রহমান একজন পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে আপাতত তিনি বাংলাদেশের নাগরিক থাকতে চান না। অর্থাৎ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব অস্বীকার (ডিনাই) করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তারেক যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নাগরিক হতে চান, তাহলে তিনি তা পারবেন। আইনমন্ত্রী বলেন, তারেক বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অপরাধ করেছেন। অপরাধ সংঘটনের সময় তিনি এদেশেরই নাগরিক ছিলেন। এটাই মূখ্য বিষয়। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। তবে এই চুক্তি করতে কোন বাধাও নেই। চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের যে সকল সদস্য দেশ আছে তাদের মধ্যে এই আইন থাকলে যে কোনো অপরাধী যদি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যায় তাকে যেন ধরে আনার সুবিধা থাকে। আজকাল অনেক ট্রান্স বর্ডার, ট্রান্স ন্যাশনাল ফৌজদারি অপরাধ ঘটে যাচ্ছে সেজন্য এই মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিটেন্স অ্যাক্টের আন্ডারে তারেক যদি বাংলাদেশের নাগরিক নাও থাকেন তাহলে তাকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো। আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যদি আপনি থাকেন এবং আপনার যদি পাসপোর্ট না থাকে তাহলে আপনার নাগরিকত্ব অ্যাফেকটেড হয় না। কারণ পাসপোর্ট হচ্ছে ট্রাভেল ডকুমেন্টের মত, আপনাকে বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়। বাইরে গিয়ে আপনি যে বাংলাদেশের নাগরিক এই পাসপোর্টই কিন্তু সেটার আইডেনটিটি। তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা আদালত অবমাননা। গণমাধ্যমকে বলবো হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন করা সকল নাগরিকের কর্তব্য। বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাসরুরকে গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, এই অভিজ্ঞতা আমাদের সকলকে শেখায়। এই ঘটনা থেকে আমরা যা শিখেছি, সেটা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পৌঁছে দেবো। তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে যদি এরকম কোনো অভিযোগ আসে সেটা সঠিক কিনা তা যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান করে যেন পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হয়। কারণ ৫৭ ধারায় কেউ মামলা করলে সেজন্য পুলিশের সেল আছে। এরপরেও যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সদস্য এ ধরনের ভুল করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের ভুল সরকারের কাম্য নয়।