স্টাফ রিপোর্টার: ভারত থেকে ফেরার পথে দর্শনার জয়নগর সীমান্তে মারা গেছেন মর্তুজা আলী নামের একজন কাপড় ব্যবসায়ী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে রেজাউল নামের এক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই রোগী মারা গেছে। এরপর মৃতদেহ রেখে ফিরে যান রেজাউল। অপরদিকে পাসপোর্টে থাকা ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে গতরাতে তার ছেলে কাওছার পিতার লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে পিতা যখন ফিরছিলেন তখন তার নিকট নগদ প্রায় ৭৫ হাজার টাকা ছিলো। অথচ এখন পাওয়া গেলো মাত্র ১৫ হাজার টাকা।
বাকি টাকা কোথায়? এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করতে গেলে হাসপাতালে নেয়া ওই রেজাউল হকের দেয়া মোবাইলফোন নম্বরটি নেয়া হয়। দেখা যায়, হাসপাতালে যে নম্বরটি রেজাউল হক বলে পরিচয় দেয়া ব্যক্তি দিয়ে গেছেন তার একটি ডিজিট কম। ফলে রেজাউল হকের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সেবা করার সুযোগে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে নাকি টাকা অন্য কারোর কাছে গচ্ছিত রয়েছে তা গতরাতে নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, রাজশাহীর বোয়ালিয়া ঘোড়ামারার শিবোইল কলোনির সাব্বির আলীর ছেলে মর্তুজা আলী সম্প্রতি ভারতে যান। গতকাল মঙ্গলবার ফিরছিলেন তিনি। গেদে হয়ে দর্শনার জয়নগর সীমান্ত পেরিয়ে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে দেখে কেউ দেন পানি, কেউ দেন প্রাথমিক চিকিৎসা। অবস্থার তেমন উন্নতি না হলে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছুনোর আগেই মারা গেছে। এরপরই খবর দেয়া হয় পাসাপোর্টে থাকা ঠিকানায়। রাতেই লাশ গ্রহণের সময় তার ছেলে ৭৫ হাজার বদলে ১৫ হাজার টাকা পেয়ে বাকি টাকার হদিস করে বলেন, টাকা গেলেও কষ্ট হতো না যদি আমরা আমাদের পিতাকে সুস্থ ফিরিয়ে পেতাম।