স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আশিকুলকে ঘাড়ে ধাক্কা দিতে দিতে নিয়ে মাথায় তুলে আছাড় মেরেছে একই শ্রেণির অপর এক ছাত্রের পিতা মিজান আলী (৪৫)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে গেলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই শিশু আশিকুলকে নির্যাতন করে। দৃশ্য দেখে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আশিকুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছির ছোট মসজিদপাড়ার প্রান্তিক শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে আশিকুল ইসলাম গ্রামেরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। একই শ্রেণির ছাত্র সাহেব আলী। সে বেলগাছি মাদরাসাপাড়ার কৃষক মিজান আলীর ছেলে। আশিকুল ও সাহেবের মধ্যে বিদ্যালয়ে কলমের কালি ছোড়াছুড়ি হয়। সাহেব আলী তার পিতা মিজানের কাছে নালিশ করে। গতকাল বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে গেলে শিশু শিক্ষার্থী আশিকুলকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই ঘাড়ে ধাক্কা দিতে শুরু করে মিজান। এক পর্যায়ে মাথায় তুলে আছাড় মারে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছে, ওই সাহেবের আব্বা আশিকুলকে গলায় ধাক্কা দিয়ে শুধু আছাড়ই মারেনি, কিলঘুষি চড় থাপ্পড় ও লাথিও মেরেছে। এর আগেও বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রকে মেরেছে সে।
সহপাঠীর পিতার নির্যাতনের শিকার আশিকুলকে পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একজন পিতাও তার সন্তানকে যখন মারার এখতিয়ার রাখেন না তখন অন্যের সন্তানকে নির্মম নির্যাতন করার সাহস পেলেন কীভাবে? বিদ্যালয়ের তরফে কি কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। তবে সূত্র বলেছে, আজ ১১টায় বিদ্যালয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অপরদিকে এলাকার পৌর কাউন্সিলর বলেছেন, বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটমাট করিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।