ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: মাধ্যমিক পাঠ্যসূচিতে আইন বিষয় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন মাধ্যমিক পাঠ্যসূচিতে আইন আন্তর্ভুক্তকরণ বাস্তবায়ন কমিটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক এসএম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলক জোয়ার্দ্দার, হাসান ইমাম হিমু, জিকু শেখ, মিঠুন বসু, রেল আব্দুল্লাহ, দিনদার হোসেন রনি, সদস্য সচিব শেখ জামাল আহম্মেদ, সহকারী সমন্বয়ক তারেক মাহমুদ জয়, শাহনেওয়াজ উজ্জ্বল, সহকারী সদস্য সচিব বিপ্লব হোসেন প্রমুখ। এসময় কমিটির নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে যে পাঠ্যসূচি আছে সেখানে আইন বিষয়ে একটি বই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ১জন আইনের শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। যিনি ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত আইন বিষয়ে পাঠদান করাবেন। এতে কিশোর-কিশোরীরা অপরাধ ও শাস্তি বিষয়ে জীবনের প্রথম থেকেই জ্ঞান লাভ করবে। যা পরবর্তী জীবনে তাদের আইন মানার মানসিকতা তৈরি হবে। তারা আরও বলেন, একজন আইনজীবী একটি মামলা পরিচালনা করার জন্য তার মক্কেলের নিকট থেকে কি পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করবে এরূপ কোনো সরকারি নীতিমালা নেই। এই সুযোগে কিছু অসাধু আইনজীবী দ্বারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিচ্ছে। তারপর বিভিন্ন রকম ভুল তথ্য প্রদান করে দীর্ঘ সময় পার করে পুনরায় অর্থ দাবি করছে। দাবিকৃত অর্থ না দিলে তারা মামলা ফেরত নিতে চাপ দেয়। কিন্তু ফেরত দিলেও প্রথম দিকে নেয়া অর্থ তারা ফেরত দেয় না। তখন একজন মক্কেল চিন্তা করে নতুন আরেকজন আইনজীবী এর নিকট গেলে আমার পুনরায় সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। এর চেয়ে দাবিকৃত অর্থ আমি প্রদান করি। মানুষকে যদি এ বিষয়ে সচেতন করা যায়, আদালতের বিভিন্ন নিয়ম কানুন সর্ম্পকে যদি তাদের জানানো যায় তবে অসাধু অ্যাডভোকেটগণ ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারণা করতে পারবে না। সরকারের কাছে আবেদন আইনজীবীদের জন্য যেন একটা আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। সেই সাথে মাধ্যমিক পাঠ্যসূচিতে আইন বিষয় অন্তর্ভুক্তি করা হয়।