আলমডাঙ্গার গড়চাপড়ায় নিখোঁজ বাবু হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামের বাবুর আলী নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পরে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্বারের পর ময়না তদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বাবুর আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে গতকাল আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ গড়চাপড়া গ্রামের সোহেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোর্পদ করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।

আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের গড়চাপড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে ৬ মামলার আসামি বাবু আলী (৪৫) বেশ কিছুদিন আগে হাজতবাস করে বাড়ি ফিরে স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেন। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের হাসিয়ার হাসি নামক এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে চা পান করে সেখান থেকে চলে আসে। এরই কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রামে খবর রটে বাবুকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা খুন করে ফেলে রেখে গেছে। এ ঘটনায় গ্রামের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করতে থাকে। গ্রামবাসী লাঠিসোটা ও টর্চ লাইট নিয়ে গ্রামের মাঠগুলোতে লাশের সন্ধান করতে থাকে। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসীর সাথে যোগ হয়ে ব্যপক খোঁজাখুজি শুরু করে। হঠাৎ ঝোড়ো বৃষ্টির কারণে খোঁজাখুজি বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসী গড়চাপড়া মাঠপাড়ার মৃত আজাহার আলীর ছেলে উজির আলীর কুড়েঘরে বাবুর আলীর ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখে চমকে উঠে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশ চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত শেষে বিকেল ৫ টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থনে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। থানা পুলিশ ৩জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুজনকে ছেড়ে দেয়। আটককৃত গড়চাপড়া গ্রামের হালিম আলীর ছেলে সোহেলকে (২৭) গতকাল আদালতে সোর্পদ করেছে বলে থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হাতে নৃসংশভাবে নিহত বাবুর আলীর স্ত্রী মমতাজ পারভীন গতকাল বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যপারে আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুন কবীর মাথাভাঙ্গাকে বলেন, নিহত বাবুর আলীর স্ত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। একজনকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।