গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার এলাঙ্গি-শানঘাট সড়কের পাশে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার সরকারি একটি নিমগাছ কেটে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় কয়েকজন কাঠ শ্রমিক গাছটি কেটে নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাঙ্গি গ্রাম থেকে শানঘাট গ্রামে যাতায়াতের সড়কের মাঠের মধ্যে বারেক আলীর জমির সামনে একটি নিমগাছ ছিলো। স্থানীয় লোকজন দীর্ঘদিন থেকেই গাছটি সরকারি মালিকানা গাছ হিসেবে পরিচর্যা করে আসছেন। গত মঙ্গলবার ভোরে চাঁদপুর গ্রামের পলান হোসেনের ছেলে কাঠ শ্রমিক টুটুল হোসেনসহ কয়েকজন করাত দিয়ে গোড়া থেকে গাছটি কাটে।
হেমায়েতপুর গ্রামের একটি কাঠ গোলায় গাছের গুড়ি ও ডালপালাগুলো স্থানীয় একটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়। সকালের দিকে এলাঙ্গি গ্রামের মিঠু নামের এক ব্যক্তির পাওয়ার টিলারট্রলিযোগে কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ে। গাছকাটার দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা গাছের গোড়া দেখতে পাওয়া গেছে।
জানতে চাইলে গাছ কর্তন করা কাঠ শ্রমিক টুটুল হোসেন বলেন, আমি শ্রমিক হিসেবে গাছ কেটে দিয়েছি। গাছটি সড়কের ওপরে ভেঙে পড়েছিলো। স্থানীয় কয়েকজন আমাকের গাছটি কেটে দিতে বলেন। সরকারি গাছ কি-না তা আমার জানা নেই। যারা নির্দেশ দিয়েছিলো তারা আমাকে গাছ কাটার মজুরী দিয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা কোথায় গেছে তা আমি জানি না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন গাছের ডালপালা ও গুড়ি বিক্রি করে টাকা পকেটস্থ করেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারি এই মূল্যবান গাছ কেটে নেয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে গাংনী সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেন বলেন, সম্প্রতি সরকারি গাছ কাটার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দু’টি অভিযান চালানো হয়েছে। সরকারি গাছ কাটার অপরাধ কঠোর হস্তে দমন করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।