দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার বড় দুধপাতিলায় এক গৃহবধূকে তার দুশিশু সন্তানের সামনে জোরপূর্বক ধর্ষণের অপচেষ্টার দ্বায়ে অভিযুক্ত দেলোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে ধর্ষণের অপচেষ্টার শিকার ওই গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দোস্তগ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দু ছেলে জাহিদ (৬) ও জুয়েলকে (৪) সাথে নিয়ে পিতার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর নওদাপাড়ায় যাচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের গন্ধখালি নামক মাঠের মধ্যে পৌঁছুলে বড় দুধপাতিলা গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে দেলোয়ার গতিরোধ করে এবং মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি আখক্ষেতের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের অপচেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে এবং তার দুশিশু সন্তানের কান্নার শব্দ শুনে পার্শ্ববর্তী জমিতে কাজ করতে থাকা কয়েকজন ছুটে আসে। এ সময় দেখে দেলোয়ার পালিয়ে যায়।
দামুড়হুদার দূর্গাপুর গ্রামে ভূট্টাক্ষেতের পাতাকাটা নিয়ে ফসল রক্ষা কমিটির সালিশ সভায় অভিযুক্তকে এক হাজার টাকা জরিমান করায় সালিশকারী সালামকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে অভিযুক্ত রশিদসহ তার পক্ষের লোকজন। আহত সালামকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়–হদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত আট টার দিকে দূর্গাপুর গ্রামের মসজিদ চত্তরে সালিশ বৈঠক চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার এজেহার সুত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রশিদ গতকাল বিকেল ৩ টার দিকে অন্যের ভূট্টাক্ষেতের পাতা কেটে আনে। মাঠ রাখালী আশাদুল ও শামসুল দেখে ফেলে ফসল রক্ষা কমিটির কাছে জানালে তারা গতকাল রাত আটটার দিকে গ্রামের মসজিদ চত্তরে সালিশ সভা ডাকে। সালিশ সভায় কমিটির সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত রশিদের এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত রশিদ সালিশকারীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং জরিমানা দেবনা পারলে কিছু করে নিও বলে চলে যেতে চাইলে সালিশকারীদের তার কথাকাটাকাটি হয়। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রশিদ ও তার পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সালিশকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে সালিশকারী ফসল রক্ষা কমিটির সহসভাপতি কুড়–লগাছি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃত রহিম বক্সের ছেলে আব্দুস সালাম মারাত্মকভাবে আহত হয়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আহত সালামকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সালাম বাদি হয়ে রাতেই দামুড়হুদা থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।