মাথাভাঙ্গা মনিটর: অফস্টাম্পের বাইরে নিচু হয়ে আসা ফুলটস। সপাটে প্যাডেল সুইপ করে বল পাঠিয়ে দিলেন ফাইন লেগের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে। শেষ ওভারে ৬ রান দরকার ছিল। মাত্রই কদিন আগে এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু এবার শহীদ আফ্রিদি শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে নাটক শুরু হওয়ার আগেই যবনিকা টেনে দিলেন।
অনেকের চোখেই বাতিলের খাতায় চলে যাওয়া সেই আফ্রিদিই আরও একবার জয়ের নায়ক। ২০ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এনে দিলেন ৩ উইকেটের জয়। দিনটা তাঁর জন্য বিশেষ এক দিন ছিল। টি-টোয়েন্টির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৫০ উইকেট ও এক হাজার রানের ডাবল পূর্ণ করেছেন। সেই দিনেই ম্যাচের নায়ক আফ্রিদি। বল হাতেও এদিন ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৪৫ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় বড় স্কোর হয়তো নয়। কিন্তু দুবাইয়ের এ মাঠে রান তোলা আসলেই কঠিন। সেটা বেশ বোঝা গেল ইনিংসের মাঝপথ পর্যন্ত যখন টি-টোয়েন্টির গতি কিছুতেই তুলতে পারছিল না শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ৩ উইকেটে ৬২। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ৩৪ বলে ৫০ এবং লাহিরু থিরিমান্নের ১৬ বলে ২৩ শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়।
৪ রান করেই পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ফিরে এলেও শার্জিল খানের ৩৪ ও মোহাম্মদ হাফিজের ৩২ ভালোমতোই এগিয়ে নিচ্ছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু ২৭ রানের ব্যবধানে পাকিস্তান শার্জিল, হাফিজের পর দুই উমর-আকমল ও আমিনকেও হারিয়ে ফেলে চাপের মধ্যে পড়ে যায়। পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৯৬। সেখান থেকেই দলকে উদ্ধার করেন সাতে নামা আফ্রিদি। দুটি চার ও তিন ছক্কার ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন জয়। ২ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।