স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি চুয়াডাঙ্গায় আসছে আজ

অপারেশনের পর ২০ রোগীর চোখ হারানোর ঘটনায় ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেছে বিএমডিসির তদন্ত দল

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চোখের ছানি অপারেশনের পর ২০ রোগীর একটি করে চোখ হারানোর ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেল্থ সেন্টার ও এর অপারেশন কক্ষ সরেজমিন পরিদর্শন করেছে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল হেল্থ কেয়ার সেন্টারে তদন্তে আসে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত দল। প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম। সাথে ছিলেন কমিটির অন্য সদস্য খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মনোজ কুমার বোস। কমিটিকে স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করেন সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম, বিএমএ চুয়াডাঙ্গার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল লতিফ।
তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিএমডিসিতে দাখিল করা হবে। তবে, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না।
ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক ডা. হাসিব মাহমুদ জানান, ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা ২০০২ সাল থেকে চোখের অপারেশন করছে। ৫ মার্চের যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা রোগীদের সাথে আছি। এই দুর্ঘটনার প্রশ্নের উত্তর বের করতে হবে। তা না হলে হাসপাতাল পরিচালনা করা ঠিক হবে না।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন গঠিত তদন্ত কমিটি গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন পাতার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম মাথাভাঙ্গাকে জানান, স্থানীয়ভাবে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গোপনীয়তার কারণে এর বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি তিনি।
এছাড়া, সরকার থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিম আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গায় আসার কথা রয়েছে। এই কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একজন অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একজন সহযোগি অধ্যাপক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের একজন পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন সরেজমিন পরিদর্শন করবেন।
প্রসঙ্গত: গত ৫ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনে চোখের ছানি অপারেশনের পর ২০ রোগীর চোখে ইনফেকশন দেখা দিলে তাদের একটি করে চোখ তুলে ফেলতে হয়।