২১ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন হয়নি

 

স্টাফ রিপোর্টার: পাসপোর্টের জটিলতাসহ নানা কারণে এখনো প্রায় ২১ হাজার সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারেননি। হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে চারবার নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।

চলতি বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন। গত ১ মার্চ প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মূল নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। গত ৬ মার্চ থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয়।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীকে পাসপোর্ট এবং বিমানভাড়ার ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। গত ৫ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন কার্যক্রম ১৮ মার্চ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু সেদিন পর্যন্ত মাত্র ৪৩ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। ৮৪ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়াতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হজযাত্রীদের সুবিধার্থে বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় ২২ মার্চ করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২২ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৬৪ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। নিবন্ধনে বাকি থেকে যান ৬৩ হাজার হজযাত্রী। তার মধ্যে অধিকাংশ পাননি পাসপোর্ট। ফলে অনেকটা বাধ্য হয়েই আবার হজযাত্রীদের নিবন্ধনের সময় ১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ায় মন্ত্রণালয়। ১ এপ্রিলেও প্রায় ২১ হাজার সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ করতে পারেননি।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রায় ১ লাখ হজযাত্রীর নিবন্ধন শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত নিবন্ধনের জন্য নতুন করে প্রাক্-নিবন্ধনের ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৬ ক্রমিক পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধিত না হলে এই ক্রমিকের পরের ক্রমিক থেকে নিবন্ধন শেষ করা হবে।