দমকা হাওয়ায় আলমডাঙ্গায় বিদ্যুত উধাও : পরীক্ষার রাতেও বিদ্যুত পায়নি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: দমকা হাওয়া শুরু হলেই আলমডাঙ্গা থেকে বিদ্যুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। কথাটি আপাতদৃষ্টিতে হাস্যরসাত্মক মনে হলেও বাস্তব অবস্থা আলমডাঙ্গাবাসীর জন্য শুধু নিদারুণ কষ্টেরই না, অসহনীয়ও বটে।
বিদ্যুতপ্রবাহ নির্বিঘœ করতে সারাবছর ধরে বিদ্যুত লাইনের আশপাশের গাছপালা ও বাঁশবাগান কেটে পরিষ্কার করা হয়। বছরে বেশ কয়েকদিন মাইকে রীতিমত ঘোষণা দিয়ে ওজোপাডিকো এ দায়িত্বটি বড় নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে। ওজোপাডিকোর এ দায়িত্ব পালনের নির্মমতা প্রত্যক্ষ করেছেন চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ছায়াবীথিতল দিয়ে চলাচলকারীদের অনেকেই। তারপরও এক দমকা বাতাসেই সব শেষ। চৈত্রের দমকায় যদি অষ্টপ্রহর বিদ্যুতবিহীন থাকতে হয়, তাহলে বোশেখ-জৈষ্ঠের কালবোশেখী কী অবস্থা ঘটাবে তা সহজেই অনুমেয়।
এখন বেশিরভাগ ব্যবসা বিদ্যুতনির্ভর। বিদ্যুতের এমন নাজেহাল দশা দেখে ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক কারণেই আতঙ্কে আছেন। সবচে’ শোচনীয় অবস্থা শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। গত ৩০ মার্চ দমকা হাওয়ার পর প্রথম দফায় ২৪ ঘন্টা পর বিদ্যুতের দেখা মেলে। তারপরের ২৪ ঘন্টায় কয়েকটি কিস্তিতে ৯-১০ ঘন্টা বিদ্যুত পাওয়া গেলেও গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যার দমকা হাওয়ায় তা আবারও নিরুদ্দেশ হয়। ফলে পরীক্ষার রাতেও বিদ্যুত পায়নি এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
পল্লিবিদ্যুতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সারাবছরই যন্ত্রণা পোয়াতে হয় পল্লিবিদ্যুতের উপায়হীন গ্রাহককুলের। দরিদ্র পাখিভ্যানচালক আর অটোচালকদের আহাজারি রীতিমত মর্মভেদী। পাখিভ্যান বা অটোবাইক কেনার এনজিও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে ত্রাহি মধুসুদন অবস্থা তাদের।
গত দুদফা দমকা বাতাসে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া শহরে বিদ্যুতপ্রবাহ মোটামুটি স্বাভাবিক ছিলো। ২য় দফায় অবশ্য চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতপ্রবাহে কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে। কিন্তু আশপাশের শহরগুলিতে বিদ্যুতের তেমন কোনো সমস্যা ঘটেনি। কিন্তু ব্যতীক্রম শুধু আলমডাঙ্গায়। আলমডাঙ্গার ওজোপাডিকোর এই অনুপযুক্ততার কারণ খুঁজে বের করা বড্ড জরুরি হয়ে পড়েছে। এমনটাই ভাবছেন সচেতন আলমডাঙ্গাবাসী।