ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত আটক

চুয়াডাঙ্গার দোস্ত গ্রামে রাত পাহারাদারদের প্রতিরোধ

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামে রাত পাহারাদাররা প্রতিরোধ গড়ে তুলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ ডাকাতকে আটক করেছে। আটককৃত ডাকাত সদস্যদের উত্তম-মধ্যম শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, চুরি ডাকাতি ছিনতাই রোধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে রাত পাহারা দিয়ে থাকে গ্রামের লোকজন। তারই অংশ হিসেবে ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামবাসী রাত পাহারার ব্যবস্থা করে। শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে গ্রামের বসুতিপাড়ার শেষ মাথায় রাতের আঁধারে কয়েকজন লোকের আনাগোনা লক্ষ করে পাহারাদাররা। পাহারাদাররা টর্চ লাইট মারতেই ডাকাত সদস্যরা নিজেদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে পাহারাদারদের চিৎকারে গ্রামবাসী টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং চারিদিক থেকে ডাকাত সদস্যদের ঘিরে ফেলে আটক করে। আটককৃতরা হলো দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের রুদ্রনগর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা (২৫), আজাহার আলীর ছেলে সামসুল হক (৩৭), ইদ্রীস আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন (৩০), একই ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে মনি হোসেন (৩০), মোহাম্মদ ম-লের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৪৫), দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গ্রামের মহাম্মদ আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮) ও আব্দুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪০)। এসময় আটককৃতদের নিকট থেকে ৩টি রামদা এবং ২টি হাসুয়া উদ্ধার করে গ্রামবাসী। খবর পেয়ে প্রথমে হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ ও পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ভোর রাতের দিকে আটককৃতদের উত্তম-মধ্যম এবং উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এ ঘটনায় হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রাত পাহারাদারদের কয়েকজন জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বেগমপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গরু মহিষ চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই রাত জেগে চুরিরোধে রাত পাহারার ব্যবস্থা করে গ্রামের লোকজন। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, এলাকাবাসী গরুচোর সন্দেহে ধরে গণপিটুনী দিয়েছে। পরে সদর থানা পুলিশ তাঁদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।