শিক্ষার মানোন্নয়নে হারদি এমএস জোহা কলেজের গুণী শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: এমএস জোহা কলেজে গুণী শিক্ষক ও কৃতি শিক্ষার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা-সম্মননা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আলমডাঙ্গার হারদীর এমএস জোহা কলেজ প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল ৩১ মার্চ এ ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মাসিক টিউটোরিয়াল পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুণী শিক্ষক নির্বাচন করে তাদের সংবর্ধনা ও সম্মননা প্রদান করা হয়।
জানা গেছে, এমএস জোহা কলেজে প্রথম বর্ষের শাদা দলের মানবিক বিভাগের সুমাইয়া আফরিন ও সবুজ দলের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের সাগর আহাম্মেদ সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে। তাছাড়া লাল দলের মানবিক বিভাগের মোছা. জাকারিয়া খাতুন ২য় ও হলুদ দলের মানবিক বিভাগের লোপা খাতুন ৩য় স্থান লাভ করে।
এছাড়া গুণী শিক্ষক ক্যাটাগরিতে আইসিটির সিনিয়র প্রভাষক মো. ইদ্রিস খান শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে সম্মাননা লাভ করেন। ক্লাসমনিটরিং ক্যাটাগরিতে দর্শনের প্রভাষক আমাম্মেদ শামীম, গ্রুপটিচার ক্যাটাগরিতে হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আজম ও গ্রুপলিডার হিসেবে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা লাভ করেন। নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আর্থিক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
অধ্যক্ষ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী নিপ্পন জোহা অ্যাডুকেশন কমপ্লেক্সের সভাপতি নুরুল ইসলাম। ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক এ.কে.এম. ফারুকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ মো. নিয়ামত আলী। এ সময় কলেজের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, একটি শক্তিশালী একাডেমিক কাউন্সিলের অধীনে এম.এস.জোহা কলেজের ৬০ (ষাট) জন শিক্ষককে লাল, শাদা, সবুজ, হলুদ ও নীল এই ৫টি দলে বিভক্ত করে প্রত্যেক দলের একজন দলনেতার নেতৃত্বে কলেজের ১হাজার ৫শ’ ছাত্র-ছাত্রীকে ৬০ জন শিক্ষকের অধীনে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক শিক্ষক তার দলভূক্ত ২৫জন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক ভালো-মন্দ যেমন কলেজে উপস্থিতি-অনুপস্থিতি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও সহপাঠ কার্যক্রমসহ সকল প্রকার অগ্রগতির জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে মাসিক মিটিঙে জবাবদিহি করে থাকেন।