জামজামি প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার ভোদুয়ায় ৩ সন্তানের জননী পারভীনা খাতুন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রোববার ভোররাতে বাড়ির সামনে বাঁশবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখে পরিবার প্রতিবেশীর মাঝে শোঁকের ছায়া নেমে আসে। পরিবার স্বজনদের দাবি সে মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী ছিলো। পারভীনা খাতুন (৪০) ওই গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের স্ত্রী।
পারভীনা খাতুনের মেয়ে স্কুলছাত্রী মিম পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, গত শনিবার রাতে একমাত্র ভাই কুরমান ও মিম মায়ের পাশে ঘুমিয়ে পড়ি। বাবা পাশের কক্ষে ঘুমান। ভোরে মাকে নামধরে ডাকতে থাকেন বাবা। তার ডাকে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। মা বিছানায় নেই। বাবা বলেন, কোথায় গেলো সে। শুরু হয় এ বাড়ি ও বাড়ি খোঁজাখুঁজি কোথাও নেই। বাড়ির সামনের বাগানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাঁশঝাড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখে পরিবারের লোকজন আঁতকে ওঠে। গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর এ মৃত্যুর কারণ জানতে চান উৎসুক উপস্থিতি। পরিবার ও প্রতিবেশী দাবি জানান, মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগী ছিলো গৃহবধূ পারভীনা। আগেও কয়েক দফা সে বিষপান ও গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়ে পরিবারের সচেতনতায় প্রাণে রক্ষা পায়। অথচ এবার ঘটে গেলো তার করুন অপমৃত্যু!
দিনভর মরদেহ বাঁশবাগানে পড়ে থাকার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই অচিন্ত্য পালের উপস্থিতিতে স্বজনেরা স্ববিস্তারে জানান গৃহবধূ মানসিক বিকারগ্রস্ত ও পেঁটে ব্যথায় ভুগছিলেন। সুরতহাল তদন্ত শেষে পরিবারের দাবির মুখে মরদেহের দাফনের অনুমতি মেলে। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহের দাফন সম্পন্ন করা হয়।