স্টাফ রিপোর্টার: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক চুয়াডাঙ্গার দুটি উপজেলায় এক তৃতীয়াংশ বই এসে পৌঁছুলেও অন্য দুটি উপজেলায় অগ্রগতি শূন্যের কোঠায়। ফলে আগামী ১ জানুয়ারি ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই পৌঁছাতে পারবে কি-না এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকদের আশঙ্কা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোমলমতি শিশুদের হাতে বই না পৌঁছুলে বিরূপ প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের মাঝে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সরকার জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকি বইগুলো সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পৌঁছে যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৬২টি এবং সদ্য জাতীয়করণ বিদ্যালয় রয়েছে ১৬৬টি। এছাড়া বেসরকারি রেজি. ১৭টি। উচ্চ বিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি। কিন্ডারগার্টেন রয়েছে ৯৪টি। এবতেদায়ী (স্বতন্ত্র) রয়েছে ২টি। এবতেদায়ী (উচ্চ মাদরাসা সংযুক্ত) রয়েছে ৪০টি। পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয় রয়েছে ১টি। কমিউনিটি বিদ্যালয় রয়েছে ৪টি। এনজিও, শিক্ষাকেন্দ্র, শিশুকল্যাণ ও অন্যান্য ১১২টি এবং রস্ক রয়েছে ১৫১টি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার মোট ৮৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য চার উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো সাত লাখ ৫৩ হাজার ২১৫টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ১৬৯টি। প্রাপ্তির হার ১৮ দশমিক ৭৪ ভাগ। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৫টি। বই পেয়েছে ৭৩ হাজার ২৯টি। প্রাপ্তির হার ৩৬ দশমিক ৫৮ভাগ। আলমডাঙ্গা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ৬৮ হাজার ১৪০টি। প্রাপ্তির হার ২৮ দশমিক ৮০ ভাগ। দামুড়হুদা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৬০টি। প্রাপ্তির হার শূন্যে। একই অবস্থা জীবননগর উপজেলার। এ উপজেলার বইয়ের চাহিদা ছিলো ১ লাখ ২২ হাজার ৬৭০টি। প্রাপ্তির হার শূন্যে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন সরকার জানান, বরাদ্দ অনুযায়ী বই যাতে দ্রুত পাওয়া যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে। আশা করছি যথাসময়ে অবশিষ্ট বই পৌঁছে যাবে।