আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২টি শূন্য পদের বিপরীতে ৪ জনের নিকট থেকে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থবাণিজ্য করা হয়েছে। এ মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা বলেছেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা ৪ জনের নিকট থেকে প্রায় ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ২টি পদ শূণ্য হয়। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনারুল হক ওই শূণ্য ২টি পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি শূণ্য ২টি পদে নিয়োগের জন্য প্রাগপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ রানার নিকট থেকে ৫ লাখ টাকা ও একই গ্রামের আমির মিস্ত্রীর মেয়ে লাকিমা খাতুনের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা নেন বলে এলাকায় আলোচনা শুরু হয়। অপরদিকে ওই ২টি পদেই নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। এদের বিরুদ্ধেও এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। ওই একই ২টি পদের বিপরীতে চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়োগের প্রতিশ্রুতিতে কেশবপুর গ্রামের টেঙ্গর আলী ছেলে আব্দুল জলিলের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা ও প্রাগপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে আরশেদ আলী ওরফে আওশাদের নিকট থেকে ৫ লাখ নিয়ে পকেটে ভরেছেন বলেও মুখে মুখে প্রচারিত হয়েছে। চাকুরী না পেয়ে টাকা দেয়ার কথা প্রকাশ করলে আমছালা সবই যাবে ভেবে অর্থপ্রদানকারীরা মুখ খুলছে না বলেও মন্তব্য অভিযোগকারীদের।
জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর ওই ২টি পদে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিলো। টাকা নিয়ে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে না পেরে সভাপতি কৌশলে সরে পড়েন। থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। সভাপতির সাথে প্রভাবশালী সদস্যসহ কয়েক নেতার বিরোধও দানা বেধে উঠেছে বলে স্থানীয় একাধীকসূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন নির্বাচিত কমিটি এলাকাবাসীর চাপে কিছুতেই ওই ৪ জনকে নিয়োগ না দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে কারণে বিপাকে পড়েছে ওই ৪জন চাকুরী প্রার্থী। তারা সর্বস্ব বিক্রি করে প্রায় ২২ লাখ টাকা সাবেক সভাপতিসহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার হাতে তুলে দিয়ে এখন তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নানাবিধ চাপের মুখে রয়েছেন। এরই মধ্যে আগামী ১২ ডিসেম্বর নতুন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।