দুজনকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা ও জীবননগরে অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রির অভিযোগে এক সারডিলারসহ দুজনকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই দু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষি বিভাগ ও এনএসআইয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গত রোববার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করেন। এদের মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার সার ডিলার সাইফুল ইসলামকে এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৮ মেট্রিক টন সার বিক্রির দায়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
অপরদিকে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান উপজেলাধীন দেহাটি বাজারের মনিরুল ইসলাম মিলনকে অবৈধভাবে ১৭১ বস্তা সার মজুদের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জেলা সারডিলার সমিতির সভাপতি মীর মহিউদ্দিন জানান, কোনো ডিলার এভাবে একজনের কাছে ১৮ মেট্রিক টন সার বিক্রি করতে পারেন না। তাছাড়া ডিলারের বাইরে কারো বিপুল পরিমাণ সার মজুদও কাম্য নয়। দেহাটি বাজারের মনিরুল ইসলাম মিলন দাবি করেন, তিনি সার জীবননগর থেকে কিনেছেন। তবে ডিলারের নাম তিনি জানাতে পারেননি।
দর্শনা পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ডিলার সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, তিনি কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ডিলার। তবে সার বিক্রি অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান জানান, কাগজপত্র সঠিক থাকায় এবং সারের সাবেক সাবডিলার হওয়ায় দেহাটি বাজারের মনিরুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হরিবুলা সরকার জানান, অবৈধভাবে বিক্রি ও মজুদের বিষয়টি জেলা সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মহদয়কে অবগত করা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে ৪৩ জন সার ডিলার রয়েছে। কোনো কর্মকাণ্ড না থাকায় ৩১৫ জন সাব ডিলারকে অনেক আগেই বাতিল করা হয়েছে।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল সোমবার জীবননগর উপজেলা উপজেলার দেহাটি বাজারের সারব্যবসায়ী মিলন হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা ও অবৈধভাবে সার মজুদ করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও সাজেদুর রহমান মনিরুল ইসলাম মিলনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার দেহাটির সারব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মিলন অসৎ উদ্দেশে অবৈধভাবে তার দোকানে সরকারি সার মজুদ করেছে গোপন এ সংবাদ পায় চুয়াডাঙ্গা এনএসআই উপপরিচালক জাফর ইকবাল। তিনি বিষয়টি দেখার জন্য জীবননগর কৃষি অফিষার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। কৃষি অফিসার রোববার রাতে পুলিশ সাথে নিয়ে দেহাটিতে অভিযান চালিয়ে মিলনের দোকান থেকে ১৭১ বস্তা সার জব্দ করেন। সারব্যবসায়ী মিলন দামুড়হুদা উপজেলার এক বিসিআইসি ডিলারের নিকট থেকে সার এনে বিক্রির জন্য তার দোকানে মজুদ করেছিলো। গতকাল মিলনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত করা হলে বিচারক তাকে দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।