কন্যাহারা পিতার ক্ষোভের আগুন নেভালো ঘাতক
স্টাফ রিপোর্টার: নাজমাকে হত্যা করার কথা তার স্বামী আজাদ স্বীকার করলেও নাজমার পিতার আর কোনো ক্ষোভ নেই। নাজমার পিতার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার গোষ্টবিহারে হাজির হয়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে প্রায়াশ্চিত্ত করতে চায় বলে জানিয়েই ক্ষোভের আগুন নিভিয়েছে। পরে অবশ্য আজাদ নিজেই সংশ্লিষ্ট থানায় আত্মসমর্পণ করবে বলে জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের গোষ্টবিহার গ্রামের হতদরিদ্র আলম আলীর মেয়ে নাজমাকে গত ২ ডিসেম্বর গলায় ওড়না জড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঢাকার বাইটেক ১৭/৫ নং বাসায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরদিনই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে নাজমার লাশ তার পিতার গ্রামে নিয়ে দাফন করা হয়। অবরোধের কারণে ঢাকায় গিয়ে ঘাতক ধরতে পুলিশের কাছে তদবির করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাজমার পিতাসহ নিকটজনেরা। এ বিষয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরই এক পর্যায়ে গত …. ডিসেম্বর নাজমার স্বামী চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের পাতানিশা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আজাদ হাজির হয় নাজমার পিতার বাড়ি। সে নাজমাকে কীভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা দিয়ে প্রায়াশ্চিত্ত করতে চায়। কয়েকদিন নাজমার পিতার বাড়িতে থেকে কেঁদে কেটে নাজমার পিতা-মাতাসহ নিকটজনদের মনে মায়া জাগিয়ে তোলে। শেষ পার্যন্ত নাজমার পিতা জানান, ওর বিরুদ্ধে এখন আর আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। তাছাড়া মামলা করতে হলে টাকা লাগে। আমরা টাকা পাবো কোথায়। আমাদেরও টাকা নেই। আজাদও গরিব।
এ মন্তেব্যর পর আজাদের নিকটজনদের খবর দেয়া হয়। পরে আজাদ নিজেই ঢাকার সংশ্লিষ্ট থানায় আত্মসমর্পণ করার কথা জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি জমায়।
উল্লেখ্য, ৬ বছর আগে সংসারের হাল ধরতে ঢাকায় পাড়ি জমায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গোষ্টবিহার গ্রামের হতদরিদ্র আলম আলীর মেয়ে নাজমা। ঢাকা মিরপুরের রে-অ্যামব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে চাকরিও নেয় নাজমা। পরিচয় হয় একই ফ্যাক্টরির শ্রমিক আজাদের সাথে। মন দেয়া-নেয়ার একপর্যায়ে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে তারা। বিয়ের এক বছরের মাথায় স্বামীর নির্যাতনের শিকারে ৩ ডিসেম্বর লাশ হয়ে বাড়ি ফেরে নাজমা।