ঝিনাইদহে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে আমের মুকুলে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে ৬টি উপজেলায় আম গাছগুলোতে থোকায় থোকায় আমের মুকুল দোল খাচ্ছে। পথচারী অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে। শীতের শেষে আম গাছের কচি ডোগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে হলদেটে মুকুল গুচ্ছ যেন উঁকি দিয়ে হাসছে। আম বাগানগুলোর শুনশান নিরবতা ভেঙে একটানা মৌমাছি যেন গুনগুন গান শোনাচ্ছে। নাকে আসছে সুন্দর একটি সুগন্ধি মধুর গন্ধ। আর আম বাগানগুলোও যেন সেজেছে অপরুপে। কয়েক দিনের মধ্যেই আমের মুকুলগুলো পরিণত হবে পরিপূর্ণ দানায়। আমের মুকুলে কৃষকের মনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে ধারণ করেই ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে ৬টি উপজেলার আমবাগান মালিকেরা আমের মুকুলের পরিচর্যা করে চলেছে। আমবাগান মালিকরা কেউ বসে নেই। সরেজমিনে জেলার ৬টি উপজেলায় গিয়ে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে চাষিরা আমের বাগান করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করছেন। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষকরা নতুনভাবে আমের বাগান করছেন। কালীগঞ্জে আমরুপালি, লেংড়া, হাড়িভাঙা, মল্লিকা, থাই, গোপালভোগ, বারি-১০, বেনারশি, সিতাভোগ, এ ছাড়া দেশি প্রজাতির আম চাষ করেছেন চাষিরা। তবে এরমধ্যে সিংহভাগই আমরুপালি জাতের। জেলার কালীগঞ্জ কৃষি অফিস জানায়, এবার উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগান মালিক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করেছে। কালীগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার আমের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ৪৪৩ মেট্টিক টন আম পাওয়া যাবে। এবছর আমের গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার রোগ বালাই দেখা দেয়নি, আবহাওয়াও ভালো। যদি কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটে তাহলে প্রচুর পরিমাণে আমের ফলন আসবে। ফলে লাভের আশা করাযাবে। আম গাছগুলোর যতœ শুরু হয় বাগানের আম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই। বাগানে গাছের পুরাতন বোটা ভেঙে ফেলা। বাগান চাষ দেয়া। বাগানের জমিতে পাতা পরিষ্কার করা। মুকুল আসার আগে এবং পরে বাগানে ভালভাবে স্প্রে করা। তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের পরিচালক জিএম আবদুর রউফ জানান, আম লাভজনক ফসল। এবার আম বাগানে যে পরিমাণে মুকুল এসেছে, যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে না পড়ে তাহলে আমের বাম্পার ফলন পাবেন কৃষকরা।

Leave a comment