কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ অভিভাবকমহল। তার নির্যাতনের শিকার হয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ২য় শ্রেণির ছাত্রী আফরিন জাহান যুথি।
অভিযোগে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন সময়ে ২য় শ্রেণির ছাত্রী শ্রেণি কক্ষে সহকারী শিক্ষক ফিরোজকে জিজ্ঞাসা করে স্যার আমাদের মিতা ম্যাডাম কবে আসবে। এরপর শিক্ষক ফিরোজ তাকে ডাস্টার দিয়ে বেধড় মারপিট করতে থাকে তার গালে ও পিঠে। খবর পেয়ে যুথির মা স্কুল থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর যুথির মা আম্বিয়া খাতুন গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় একটি প্রি-ক্যাডেটে ভর্তি করে তার মেয়ে যুথিকে। এ বিষয়ে যুথি অভিযোগ করে বলে ফিরোজ স্যার প্রায়ই কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের গালাগালি করে থাকেন। যুথির মা আম্বিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, যুথিকে বেধড় পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক ফিরোজ। শিক্ষকটি প্রায়ই মেয়েকে গালিগালাজ করে থাকে। সে মাঝে মাঝেই বাড়িতে এসে আমাকে বলে। আমি স্কুলে গেলে শিক্ষকটি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। আমি বাধ্য হয়ে তাকে অন্য স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। এ বিষয়ে শিক্ষক ফিরোজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এতদূর গড়াবে আমি বুঝতে পারেনি। তবে নিউজ না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেন বাবুল জানান ছাত্রীর মা এসেছিলো বিষয়টি তো এখানেই শেষ করে দিয়েছি। এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কয়েক মাসের ব্যবধানে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ১৫টি ছাত্র-ছাত্রী কার্পাসডাঙ্গা মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে স্থানীয় কয়েকটা প্রি-ক্যাডেটে ভর্তি হয়েছে শুধুমাত্র শিক্ষক ফিরোজের অত্যাচারের কারণে। এমনটি অভিযোগ করেছে ওই সকল ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। ওই স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলো মারুফ। সে জানায় আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন ফিরোজ স্যার আমাদের খারাপ ভাষায় গালি দিতো। একই শ্রেণির ছাত্র ছিলো ইমন সেও শিক্ষক ফিরোজের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে। ওই স্কুল থেকে চলে আসা ছাত্র সাব্বিরের বাবা কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের সুবেদার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক ফিরোজের অত্যাচারের কারণে আমার ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকি সালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।